বার্তা পরিবেশক :
মাদক ব্যবসা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করার পরও থামছে না মাদক ব্যবসা।
তারই ধারাবাহিকতায় উখিয়ার ব্যস্ততম স্টেশন মরিচ্যা বাজার প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে শুটকির বাজারে বাদশাহর নেতৃত্বে প্রতিদিন ৮-১০ জনের একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে প্রায় ৩০০ লিটার মদ বিক্রি করছে। বিষয়টি অনেকে জানলেও টাকার কাছে সবাই মাথা বিক্রি করে মুখে তালা মেরে রয়েছে। কিছু ছোট খাটো স্থানীয় নেতার ক্ষমতা নিয়ে চলছে এইসব মাদক ব্যবসা, দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার ব্যস্ততম স্টেশনে লোকচক্ষুর সামনে এভাবে মাদকের ব্যবসা এলাকার সমাজকে নষ্ট করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, বেশ কয়েকবার প্রশাসন এই মদ পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করলেও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই তারা মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে তরুণ ও যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে মোঃ ছৈয়দ আলমের ছেলে বাংলা মদের ডন বাদশাহর নেতৃত্বে চলে মদের এ কারবার।
অভিযোগ, নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি চাকমা পল্লী থেকে মদ এনে বাদশাহর বাড়িতেই মজুদ রাখা হয়। সেখান থেকেই চলে মদের হোম ডেলিভারি। সে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মদের বোতল নিয়ে প্রকাশ্যে বসে থাকে বিক্রি করার জন্য। আবার কোথাও বন্ধ চায়ের দোকান ও ঝুপড়ি থেকে কৌশলে চলছে এই বেআইনি কারবার। এছাড়াও মরিচ্যা বাজার স্টেশনের শুটকি বাজারে সন্ধ্যায় বসে আসর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবৈধ মদের ব্যবসা বাদশার নেতৃত্বে চলে এবং এখান থেকে অনেক সাংবাদিক ও গুণীজনেরা মাসোহারা নেন। প্রতিদিন এ মদ খেয়ে অনেকেরই সংসারে অশান্তি এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি এবং মারামারি লেগেই থাকে। বাদশাহর মদের রমরমা ব্যবসার চিত্র ফুটে ওঠে সকাল ৮টা থেকে এবং মদ খেয়ে অনেকেই মাতলামি শুরু করে। সে নিজেও মদ খেয়ে স্টেশনে মাতলামি শুরু করে এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হুমকিধামকি দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। অভিযোগ পেলে কোন ছাড় নেই।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-