টেকনাফ অফিস :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা এক নারী রোগী (কলেজ) ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত চিকিৎসক (সার্জেরী) মো. জাকের হোসেন জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে কর্মরত আছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে টেকনাফ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক, জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ইউএনওসহ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কলেজ ছাত্রী (১৯) তরুণী। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলা হ্নীলার নাটমুরা পাড়ার বাসিন্দা।
অভিযোগ সুত্রে জানায়, একজিমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ওই কালেজ ছাত্রী (১৯) গত ৪ নভেম্বর টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। এতে কর্মরত চিকিৎসক তাকে সেখানে ভর্তি দেয়। পরে গতকাল সোমবার দুপুরে পায়ের ডেসিং করতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময় ডাঃ জাকের হোসেনসহ তার সঙ্গে থাকা নার্স ও এক পুরুষ হেলপারসহ মিলে সম্পূর্ণরূপে কাপড় খোলতে বলেন ওই তরুণীকে। এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত ডাঃ জাকের হোসেন জোর করে তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে শরীরের বিভিন্ন অংশে র্স্পশ করে। এসময় প্রতিবাদ করলে থিয়েটার কক্ষ থেকে বের করে দেয় ওই রোগীকে। তাৎক্ষনিক ঘটনাটি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অবহিত করেন। একই দিন এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কতৃপক্ষসহ ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ করেন কলেজ ছাত্রী।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জাকের হোসেন জানান, “এটি সর্র্ম্পূণ মিথ্যা, আমার দূর্নাম রতাতে এই মিথ্যা কাহিনী সাঁজানো হচ্ছে। আমার চেম্বারে আরো লোক ছিল, তাদের সামনে কিভাবে একটা মেয়েকে খারাপ আচরন করব? বিষয়টি সত্য-মিথ্য স্যারেরা তদন্ত করবেন।”
তবে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)-এর কক্সবাজারের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সমীর কুমার হাওলাদা জানান, “ওই চিকিৎসক টেকনাফ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বিষয়টি হাসপাতাল কৃতপক্ষ তদন্ত করবেন। তাছাড়া কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এনামুল হক জানান, ‘এক তরুণী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অবগত করে কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কাছে একটি চিঠি প্রদান করা হবে। তদন্ত মাধ্যমে বিষয়টি প্রমাণ হলে কৃতপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা কথা উল্লেখ করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।”
জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি দ্রæত তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ডাক্তারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-