এম.এ আজিজ রাসেল •
অশুভ শক্তির বিনাশ ও করোনা মহামারী থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় জেলাব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে কালী পূজা। কিন্তু এবার পূজায় উৎসবের আমেজ নেই। নেই উদ্দীপনা। কুমিল্লা—পেকুয়াসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজায় প্রতিমা ভাংচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা সবার কালো দাগ কাটে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে এখনো সেই দাগ বিরাজ করছে। যার দরূন এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলী উৎসব বর্জন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহা শশ্মানে গিয়ে দেখা যায়, মুখে কালো কাপড় পরেছে দর্শনার্থী ও ভক্তরা। রঙহীন পরিবেশ। কোথাও তেমন সাড়া শব্দ নেই। দীপাবলীর বাতি শশ্মানের পুকুরে বিসর্জন দিয়ে জানানো হয়েছে নিরব প্রতিবাদ। অশ্রম্নসিক্ত হৃদয় নিয়ে প্রতিমা ভাংচুর ও হামলার বিচার দেওয়া হয়েছে মাকে। সকলের প্রত্যাশা অশুভ শক্তির অন্ধকার সরিয়ে তিনিই ন্যায় বিচার করবেন।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহা—শশ্মান পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন পাল নাজিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ—সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহা—শশ্মান পরিচালনা কমিটির কার্যকরী সভাপতি সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মহা—শশ্মান কালী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিটন কান্তি দে ভুলু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পিংকেল দাশ, সহ—সভাপতি রিপন পাল, অর্থ সম্পাদক কানু শর্মা, প্রদীপ চক্রবতীর্, ভবতোষ পাল, রাজিব দাশ, কৃষ্ণ পাল, প্রদীপ দাশ গোবিন্দ, অজয় দাশ, ইমন দে, বাবুল ধর, সুজন দে, রুবেল বিশ^াস প্রমূখ।
এর আগে কক্সবাজার কালী বাড়ির সম্মুখে মুখে কালো কাপড় পড়ে ও মোমবাতি জ¦ালিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে সদর ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।
পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা—মাতা ও আত্মীয়—স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলী। হিন্দু লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-