প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বার্তা পরিবেশক :

আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কতিপয় ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের পক্ষে কিছু গণমাধ্যম প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন রকম মুখরোচক এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা দৈনিক কক্সবাজার আমার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করে।

গত ২০ অক্টোবর অনলাইন ভার্সনে এবং ২১ অক্টোবর মূল কাগজে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আইন লঙ্ঘন করে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার অভিযোগ আনে। প্রকৃতপক্ষে তাদের দাবি বাস্তবসম্মত নয়।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ২০ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধির সর্বশেষ সংশোধনী প্রকাশ করে যার ধারা ২২(১) এ বলা হয়েছে, “সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না”।

(বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, পাতা ১২১০) আর এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংজ্ঞায় বিধির ধারা ২(১৪) এ বলা হয়েছেঃ “সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমপদমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ-সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র”।

(বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, পাতা ১২০৬) এ থেকে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়রের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে কোনো আইনী বাধা নেই।

আমি দৈনিক কক্সবাজারের এই বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং ভবিষ্যতে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।

—————————-
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,
উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত),
উখিয়া উপজেলা পরিষদ, উখিয়া, কক্সবাজার।

আরও খবর