স্পোর্টস ডেস্ক •
গতকাল সকালে সড়ক পথে দুবাই থেকে ওমান এসেছেন সাকিব আল হাসান। আইপিএলের ফাইনালে তার দল কলকাতা হেরে গেছে। নিজেও ব্যাট-বল হাতে ছিলেন বিবর্ণ। তার আগে রাজস্থানের হয়ে আইপিএল শেষ করে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। আইপিএলের জার্সি খুলে দেশের দুই তারকা এবার প্রস্তুত দেশের হয়ে খেলতে।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ইনজুরি থেকে মুক্ত। এক কথায় আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে মাঠে নামতে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে প্রস্তুত বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ।
আসরের প্রথম পর্বের শুরুতেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার মিশন। প্রতিপক্ষ আইসিসি’র সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ড। আজ জিতলে সুপার-টুয়েলভ পর্বের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও জানিয়েছেন তারা কোনো দলকে ছোট বা বড় এমনটা ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের খেলা নিয়ে ভাবছি। এ ছাড়াও উইকেট কেমন কি হবে সেগুলো না ভেবে মাঠে আমাদের যা পরিকল্পনা সেগুলোই মাঠে বাস্তবায়ন করতে চাই।’
অন্যদিকে স্কটল্যান্ড কোচ পাত্তাই দিচ্ছেন না বাংলাদেশকে। কোচ শেন বার্জার বাংলাদেশ দলের ফেবারিট’ তকমা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। গ্রুপ ‘বি’র বাকি দুই প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির কাতারেই দেখছেন তিনি। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ২০১২ তে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা হারলেও টাইগাররা এখন বিশ্বের বড় দলগুলোরই কাতারে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্বলতা থাকলেও ধীরে ধীরে সেখান থেকেও বের হয়ে এসেছে। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তিন সিরিজ জিতে আইসিসি’র র্যাঙ্কিংয়ে ৬-এ উঠে এসেছে দশম স্থান থেকে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাত ধরে শেষ তিন সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দিন বদলের হুংকার দিয়েছে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলে কথা। আর শেষ দুই প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর অদৃশ্য একটি ভয়ও পেয়ে বসেছে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের। তবে সাকিব আল হাসান গতকাল দলের সঙ্গে যোগ দেয়াতে অনেকটাই নির্ভার দল।
অন্যদিকে আজ কেমন হবে বাংলাদেশ দল তা নিয়েও জল্পনা- কল্পনার শেষ নেই। ওপেনিংয়ে দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল নেই। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে লিটন দাস, নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকাররা ধারাবাহিক নয়। বলার অপেক্ষা রাখে না ওপেনিং নিয়ে টাইগারদের বড় চিন্তার কারণ। যদিও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ তাদের উপরই বিশ্বাস রাখতে চান। সাকিব আল হাসান ফর্মে নেই। তবে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের জন্য একটি সুযোগই যথেষ্ট। সব শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তাকে দেখা গেছে, নিজেকে অনন্য এক রূপে। মুশফিকুর রহীম দলের সেরা ব্যাটসম্যান। তার ওপর আস্থা রাখা যায় দারুণ ভাবেই। এরপর দলের হাল ধরতে অধিনায়ক নিজেও মাঠে নামবেন। যদিও তার ইনজুরি নিয়ে বেশ শঙ্কা ছিল। তবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট। প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবো।’
অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্মে আছে দলের বোলিং ইউনিট। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক নিজেই বলেছেন তার এবার সবচেয়ে বড় ভরসা ও আস্থার জায়গা দলের বোলিং। স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তরুণ নাসুম যেকোনো সময় ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন। এ ছাড়াও পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জায়গা করে নিবেন লেজের দিকে। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে তাসকিন আহমেদকে। তবে দলের বোলিংয়ের বড় শক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ তিন সিরিজে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলের জয়ের নায়ক ছিলেন। আইপিএলেও রাজস্থানের হয়ে করেছেন দুর্দান্ত বোলিং। সব মিলিয়ে যেকোনো দলের বিপক্ষে ফিজ এখন আতঙ্কের নাম।
এক কথায় অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর দুই বড় অস্ত্রের নাম সাকিব ও মোস্তাফিজ। তাদের এ দুজনেরই বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষে দলের জয়ে নায়ক হয়ে উঠতে সময় লাগে না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিকেট বিশ্বে এই দুজনের অবস্থান অনন্য।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-