ডেস্ক রিপোর্ট,বিডি জার্নাল •
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিগত চারদিনে ৮৪৮টি ইউনিয়নের মধ্যে অর্ধেক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বাকী ইউনিয়নের প্রার্থী বাছাইয়ে সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মনোনয়ন বোর্ডের সভা চলবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
চলতি ধাপের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৪ হাজার ৪৫৮ জন প্রার্থী। এরমধ্যে রাজাকারের পুত্র-নাতি, বিএনপি নেতা, হত্যার আসামি, নারী নির্যাতনের আসামি, মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছেন।
এছাড়াও বিধবা ভাতার কার্ড নিয়ে অনিয়ম, গরিবের চাল-গম নিয়ে দুর্নীতিসহ নানা কর্মকান্ডে সমালোচিত চেয়ারম্যানরাও আছেন। নানা অভিযোগের কারণে প্রার্থী যাচাই-বাচাই বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ধানমন্ডির কার্যালয়ে জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে অভিযোগের পাহাড় জমেছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, অনিয়মে জড়িত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। সব যাচাই-বাচাই করে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তবে অনিয়মে জরিত কোন অযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন পেলে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা হবে।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশন তফসিল অনুযায়ী, ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। তাই এই সময়ের মধ্যে দলীয় প্রার্থী বাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে ইউপি নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেয়া হয়। এসময় দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেন ৪ হাজার ৪৫৮ জন। এ হিসেবে প্রতি ইউপিতে ৫ জনের বেশি প্রার্থী আবেদন করেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের প্রথম সভায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ২৬টি উপজেলার ১৯৪টি ইউপির প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ।
পরে শনিবার (৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন বোর্ডের সভায় খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের ৫ জেলার (ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ) প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ। এসব প্রার্থীর তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
মনোনয়ন বোর্ডের সভার মেয়াদ ওইদিন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তৃণমূল পর্যায় থেকে আসা নানা আপত্তির কারণে সময় বাড়ানো হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-