পরিবার ও ব্যবসায়ী সমিতির দাবি ষড়যন্ত্র

উখিয়ায় ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দেখিয়ে আটকের অভিযোগ

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট •

রামুর মরিচ্যা চেকপোস্টে ১০হাজার ইয়াবাসহ কোটবাজারের ব্যবসায়ী ছৈয়দ মো. কায়সারকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানাের প্রতিবাদে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আটক কায়সারের পিতা বলেন, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে যেন ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

আমার বড় ছেলে ছৈয়দ মােহাম্মদ নােমানের বিরুদ্ধে সু – গভীর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র শেষ হতে না হতেই আমার আরেক ছেলেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আচমকা কোটবাজার দোকান থেকে ধরে মরিচ্যা চেকপােষ্টে নিয়ে প্রায় ১০ঘন্টা রাখার পর স্থানীয় দুজন টমটম ড্রাইভার এর স্বাক্ষর নিয়ে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মাদক মামলা দায়ের করে রামু থানায় গ্রেফতার দেখায়। যা আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত কোর্টবাজারে
চাউলের দোকান করে জীবন যাপন করে আসছে। আমার ছেলে এই পর্যন্ত কোন মাদক সংক্রান্ত কোনাে কাজে জড়িত ছিল না।

তাকে সম্পূর্ণ অন্যের প্ররােচনায় বা প্রভাবিত হয়ে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায় অমানবিক এবং আইন বহির্ভূত। এছাড়াও আমার পরিবার নিয়ে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও করছে একটি কুচক্রী মহল।

কায়সারের ভাই উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছৈয়দ মো. নোমান বলেন, কেনো আমার ভাইকে কোটবাজার থেকে ধরে নিয়ে মরিচ্যা চেকপোস্টে আটক দেখানো হয়েছে সেটা পরিষ্কার করে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কারা ষড়যন্ত্র করছে সে প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন,বাড়ির নিকটস্থ রফিক উদ্দিন বাবুল এ ঘটনায় জড়িত আছে বলে সন্দেহ হয়। পুরো ঘটনায় বিজিবির সাথে শীর্ষ মাদক কারবারি ভালুকিয়ার সোহেল ছিলো যে কিনা একজন মাদক কারবারি হয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে। একজন মাদক কারবারি কিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হয় তা আমার বোধগম্য নয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন,আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছি। নিরীহ মানুষকে মাদকের সংশ্লিষ্টতা দেখিয়ে আটক দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

যারা প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী তাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে মালিক সমিতির কোনো আপত্তি নেই। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে কায়সারকে অব্যাহতি না দিলে আগামীতে মানববন্ধন,স্মারকলিপি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর