মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী কিছু সংগঠনের সহযোগিতায় ইয়াবার কারবারে সরাসরি জড়িত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। গেলো এক বছরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা।
সীমান্তঘেঁষা ক্যাম্পের কারণে তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানান আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, ইয়াবার কারবারে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পরা বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত থেকে উখিয়ার অন্তত তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দূরত্ব হাঁটাপথে কয়েক মিনিট মাত্র। আর তমব্রু সীমান্তের শুন্যরেখায় আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সীমান্তের এমন সুযোগকেই ইয়াবা পাচারের ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
আর কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, আগে বাহকের কাজ করলেও গেলো এক বছরে ইয়াবার চালানসহ ধরা পড়া রোহিঙ্গাদের অর্ধেকের বেশি সরাসরি পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে জানান কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইয়াবা ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা নেতারা। এজন্য গড়ে উঠেছে ক্যাম্পভিত্তিক আলাদা সিন্ডিকেট। কুতুপালংয়ে আছে মুন্না-মহিবুল্লাহ-নজরুল সিন্ডিকেট, বালুখালি ক্যাম্পের দায়িত্বে জাফর-জাকির এবং পালংখালিতে নবিউল্লার নেতৃত্বে আছে প্রায় ১৫-২০ জনের বাহিনী।
আর টেকনাফ অঞ্চলে পুরানোদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্যের দুই ভাইসহ তালিকাভুক্ত শীর্ষ অন্তত দশ ইয়াবা গডফাদারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে রোহিঙ্গা নেতাদের।
এদের দলে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। উল্টো তাদেরকেই ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে চালানো হয় হামলা, এমনকি তছনছ করা হয় তাদের বসতঘর।
দিনকে দিন রোহিঙ্গাদের ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হওয়া এই অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মাথাব্যাথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানালেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমদাদুল হক মনে করেন, সবচে বেশি শঙ্কার বিষয় আরাকানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারিদের সখ্যতা। এর মাধ্যমে সংকট আরো ঘনিভূত হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। /সূত্র যমুনা নিউজ
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-