ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ ও ভাংচুর: ৩ মামলা

বিশেষ প্রতিবেদক •


একদিন বাদেই (২০ সেপ্টেম্বর) আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে কয়েক দফা স্থগিত থাকা দেশের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

তবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা ব্যস্ত থাকলেও গত ৮ দিনে দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিক্ষিপ্ত ঘটনা এবং সংঘাত অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে হোয়ানকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শেখ কামাল ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের (চশমা) সমর্থকগণ রয়েছেন মুখোমুখি অবস্থানে। তাই এ ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে উপজেলার কুতুবজোম ও হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুর ও গুলাগুলির ঘটনায় মহেশখালী থানায় পৃথক ৩ টি মামলা হয়েছে। কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট শেখ কামাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারফ হোসেন খোকনের পক্ষে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।

এ ছাড়াও হোয়ানক ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য বহিষ্কৃত হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জোড়া পাতা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর কাশেমের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় কাজল বাদী হয়ে বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল করিমের ভাই শাহজাহান চৌধুরী, মহসিন চৌধুরী ও রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিম জানান, পুরা মহেশখালীতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় মিথ্যা নাটক করে নিজেরাই গাড়ি ভাংচুর করে আমার ভাই ও সমর্থকের উপর মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, যাতে নির্বাচন থেকে সরে যাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনায় কুতুবজোম ও হোয়ানকে ৩টি মামলা হয়েছে। আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর