৫৫ বছরের দাদির সাথে ২২ বছরের নাতির বিয়ে!

রকমারী ডেস্ক: প্রেম-ভালোবাসা হয় মনের সঙ্গে মনের। যা মানে না কোনো বয়স, বর্ণ, ধর্ম। থাকে শুধু বিশ্বাস এবং আস্থা। ঠিক এই বিশ্বাসেই প্রতিবেশী দাদির প্রেমে পড়েন এক যুবক। সেই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে।

বর ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র ফারুক মিয়া (২২)। একই এলাকার প্রতিবেশী দাদি ৫৫ বছর বয়সী শিরিন আক্তার বিয়ের কনে। ৩ সেপ্টেম্বর এলাকার গণ্যমান্যরা সালিসের মাধ্যমে দুজনের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল সোমবার দাদির সাথে নাতির বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরে।

জানা যায়, দাদির সঙ্গে প্রায়ই লুডু খেলে সময় পার করত প্রতিবেশী নাতি। এর মাধ্যমেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। দুজনই এখন সংসারে মত্ত।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী দাদি শিরিন আক্তারের স্বামী পাঁচ বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে প্রতিবেশী নাতি সম্পর্কের ফারুক মিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন ওই নারীর ছেলে। এরপর বসে সালিস। সেখানেই হয় বিয়ের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার রাতে হয় তাদের বিয়ে।

বড়হিত ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম জানান, ওই নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই নাতি সম্পর্কের ফারুক বাড়িতে ঘন ঘন আসা-যাওয়া শুরু করে। কোনো কোনো সময় ঘরের বারান্দায় বসে লুডু খেলায় মত্ত থাকত। এটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলত না। কিন্তু এর মধ্যে যে প্রেম ছাড়াও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল তা কেউ জানত না। পরে রাতের বেলায় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর দুজনের সম্মতিতে কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়হিত ইউনিয়নের কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে।

আরও খবর