টেকনাফ সংবাদদাতা •
টেকনাফের বাহারছড়ায় ইসলাম খাতুন (৩৮) নামে ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরীর মৃত নূর মোহাম্মদ মেয়ে।
পরে অভিযুক্ত স্বামী ছৈয়দ হোসাইন (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার করাচিপাড়ার বাসিন্দা মোজাহার মিয়ার ছেলে। তাদের সংসারে ১০ ও ৮ বছরের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার ১৭ আগষ্ট বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচিপাড়ার স্বামীর ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসেন ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটির জের ধরে স্বামী ছৈয়দ হোসাইন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইসলাম খাতুনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় ১০ বছর ও ৮ বছর বয়সী এক ছেলে ও এক মেয়ে মাদ্রাসায় ছিলেন।
বিকেলের দিকে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে স্বামীকে আটক করেন। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হোসেন বলেন, স্ত্রীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর ছৈয়দ হোসাইন আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদ জানাতে গিয়ে কথায় অসঙ্গতি দেখা দিলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
তাকে পালানোর সুযোগ না দিয়ে কৌশলে রেখে দিলে পুলিশ আসার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তার কথাই অসঙ্গতি রয়েছে।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন,’ স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-