ফারুক আহমদ •
উখিয়ায় টানা ভারি বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানিতে রেজুখাল – হিজলিয়া খাল , মরিচ্যা ও গয়ালমারা খালে প্রবল স্রোতে ২০ টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
অসংখ্য ঘরবাড়ি খালে বিলীন সহ কোটবাজার সোনারপাড়া সীবিচ সড়ক হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজা পালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হিজলিয়া খালে ব্যাপক ভাঙ্গনে কবলে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী গ্রাম। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে হয়েছে।
আল আমিন সোসাইটি নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রামবাসীর সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমে খালের ভাঙ্গন মেরামত করলেও গত রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রবল বর্ষণে খালের বাঁধ ভেংগে গিয়ে বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চরপাড়া,মনি মার্কেট খাল সংলগ্ন কোটবাজার সোনারপাড়া সড়ক,হিজলিয়া খালের ভাঙ্গনে বসতবাড়ি খালগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পাহাড়ি ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে খালগর্ভে ভেসে গেছে । শুধু তাই নই , পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে রেজু খালের পাড় রক্ষায় স্থাপিত সিসি ব্লক বিধ্বস্ত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে।
জালিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, এবারের প্রবল বর্ষণে রেজু খালের দুই পাড়ে অসংখ্য ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে ।
এছাড়াও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ধুরুম খালী খালের ভাংগনের ফলে জনাব আলী পাড়ার চলাচলের সাকো বিলীন হওয়ায় জনগণের চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ সহ উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা খালের ভাংগন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়রা জানান, ভারী বর্ষণে বন্যার পানিতে গাছপালা,ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবেনা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় ২০০মিটার বাঁধ পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি।
পরিদর্শনকালে তিনি উপজেলা প্রশাসন থেকে সংস্কারসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-