উখিয়ায় পরকিয়ায় বাঁধা দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

কমরুদ্দিন মুকুল •

উখিয়ায় বিবাহিতা স্ত্রী সাফা ইয়াছমিন (২৫) এর পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় ব্যাংকার স্বামীকে প্রধান আসামী করে উখিয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে ভিকটিম বাদী হয়ে।

থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ তারাবনিয়ার ছড়া গ্রামের হাজী খুইল্যা মিয়ার মেয়ে সাফা ইয়াছমিন (২৫) এর সাথে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের আবু আহামদের ছোট ছেলে রিদুয়ানুল হক বাপ্পি(৩৭) এর বিয়ে হয় ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ইং সনে। বর্তমানে তাদের সংসারে রাদিয়া ইলমা কুচেম নামের ৩ বছরের একটি শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে।

সাফা ইয়াছমিন জানায়, ১৭ জুলাই রাত ১২টায় তার স্বামী বাপ্পি বিভিন্ন অজুহাত তুলে বাপের বাড়ী থেকে ১০ লক্ষ টাকা আনিয়া দিতে বলে। উক্ত টাকা এনে না দেওয়ায় তার উপর শারিরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

মামলার আসামী রিদুয়ানুল হক বাপ্পি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সুখের সংসার চলে আসছিল। অদৃষ্টের নিমর্ম পরিহাস গত ১ বছর ধরে আমার স্ত্রী সাফা সংসারের প্রতি অমনযোগী হয়ে বাচ্চার প্রতি অবহেলা ও পিতা মাতার প্রতি রূঢ় আচরণ করে আসছিল। যা মোটেই কাম্য নহে। গুরুত্বর অভিযোগ গত কয়েক মাস ধরে সাফা গভীর রাতে কে বা কার সঙ্গে কথা বলছিল।

১৭ জুলাই রাত ৩টার দিকে মোবাইলে প্রেমালাপ করার সময় আমি হাতে নাতে ধরে ফেলি। এ সময় চাপের মুখে সাফা স্বীকার করে বলেন পূর্বের প্রেমিক হাবিব নামের এক ছেলের সাথে ফোনালাপ করছিল। বিষয়টি বাপ্পি তাৎক্ষনিক ভাবে সাফার পিতা মাতাকে অবহিত করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

বাপ্পি জানায় মিথ্যা মামলার শংকায় ২০ মার্চ ঢাকা মতিঝিল থানায় ও গত ২০ জুলাই উখিয়া থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করা হয়েছে।

বাপ্পির অভিযোগ, প্রতিপক্ষরা টাকা ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে গত ১৯ জুলাই ৭/৮ জন লোক নিয়ে তার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে আমার একমাত্র দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তানকে রেখে তার স্ত্রী সাফাকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় খুরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি আমাকে অপহরণ পূর্বক খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। জীবনের নিরাপত্তার জন্য মামলার বিবাদী সাফার স্বামী এড. রিদুয়ানুল হক বাপ্পি কক্সবাজার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সনজুর মোর্শেদ জানান, মামলার তদন্ত কাজ চলছে। বাপ্পির বয়োবৃদ্ধ পিতা আবু আহামদ তার একমাত্র নাতির ভবিষ্যত কামনা করে ছেলে আর বউয়ের মধ্যে পূর্বের জীবন ফিরে আসুক কামনা করেছে।

আরও খবর