বিশেষ প্রতিবেদক •
জন্মনিবন্ধন জটিলতায় উখিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৬৮ জন। জন্মনিবন্ধনপ্রাপ্ত ১৮ হাজার ৬৩৬ জন ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তির আওতায় আসলেও ১১ হাজার ১১৫ জন খুদে শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছে।
উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জনপদ করইবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানে আলম জানান, জন্মনিবন্ধন না থাকায় তার বিদ্যালয়ের ২৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ২১০ জন উপবৃত্তি পাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দি থাকার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার ওপর আবার জন্মনিবন্ধন জটিলতায় সরকারি সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম কামাল উদ্দিন জানান, একজন শিক্ষার্থীর নিবন্ধন সম্পন্ন করতে তার বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র, দাদা-দাদির মৃত্যু হলে মৃত্যু সনদ, বাড়ির কর পরিশোধসহ অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। নানা রকম সমস্যা জটিলতার কারণে জন্মনিবন্ধন করতে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে।
রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা ইচ্ছে করলে জন্মনিবন্ধন করতে পারেন। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা ইউনিয়ন পরিষদ করতে বাধ্য।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলসান আক্তার বলেন, অভিভাবকরা নানা সমস্যার কারণে জন্মনিবন্ধন করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দফায় দফায় সময় বাড়িয়েছে।
তারপরও প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী জন্মনিবন্ধন করতে পারেনি বিধায় তারা উপবৃত্তি বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-