এম.এ আজিজ রাসেল •
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২১৮ জনকে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলা করা হয়েছে ২১৪টি।
শুক্রবার (০২ জুলাই) জেলার ৮ উপজেলায় পৃথক ৩০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার সাদিয়া সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, লকডাউনে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ মানাতে জেলাজুড়ে দিনভর চেকপোস্ট, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও টহল পরিচালনা করা হয়। এসময় বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিধিনিষেধ অমান্যের দায়ে আরও ২১৪টি মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে শহরজুড়ে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি শহরের বাজারঘাটাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের টিম সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। সড়কে বিজিবি, সেনা সদস্যদের ও পুলিশী তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল কম। রিকসা ও মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলাচল করেনি। জরুরী পণ্যবাহী গাড়ি চলেছে প্রমাণপত্র দেখিয়ে। জরুরি সেবার সাথে জড়িতরা সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে পার পেয়েছে। যারা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি তাদের উল্টো ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিনা প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। জরিমানা গুনতে হয়েছে অনেককে। জরুরী কাজে বের হয়েও যারা মাস্ক পরেনি তাদের কঠোরভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। শহরের ভেতরের সব দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। বিধিনিষেধ মেনে উন্মুক্ত রাখা হয় খাবার প্রতিষ্ঠানসমূহ। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেই পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় লকডাউন বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-