এম ফেরদৌস, উখিয়া •
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশর ন্যায় উখিয়ায় ও পালিত হচ্ছে কঠোর লকডাউন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
উখিয়া টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে যানবাহন খুবই কম। পুলিশী তৎপরতা চোখে পরার মত। সড়কে একটু পর পরই ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সেখানে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনকে থামিয়ে দিচ্ছে,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোরদার অবস্থা প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে, সোনার পাড়া বাজার,উখিয়া সদর,কোট বাজার স্টেশন, মরিচ্যা, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী,পালংখালীসহ গ্রামগঞ্জের দোকান পাট ও ঘুরে দেখা যায় কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি নিয়মিত টহল দিতেও দেখা গেছে। ঘর থেকে কেউ বের হলে প্রশাসনের জেরার মুখে পড়তেছে। পুলিশ তাদের বাড়িতে অবস্থান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি এবং লকডাউন আওতার বাইরে রয়েছে এমন যানবাহন ছাড়া সকাল ৬টার পর থেকে অন্য কোনো যানবাহনই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
গত বুধবার (৩০ জুন) কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যদি কেনা-বেচা করা যাবে ৫ ঘণ্টা।
সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের আওতায় উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ উখিয়াবাসীর উদ্দেশ্য বলেন,
১/ সকল অফিস বন্ধ থাকবে।
২/ সকল যানবাহন/গণপরিবহণ (টমটম/সিএনজি/বাস) বন্ধ থাকবে।
৩/ কাচাবাজার ও ফার্মেসী ছাড়া সকল দোকান, মার্কেট, শপিংমল বন্ধ থাকবে।
৪/ হোটেল/রেস্টুরেন্ট/খাবারের দোকান শুধুমাত্র অনলাইন/পার্সেল বিক্রি করতে পারবে।
৫/ অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনভাবেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবেনা।
৬/ সরকারের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-