রাসূলুল্লাহ (সা.) মানব জাতীর মহান শিক্ষক এবং কোরআন মহাগ্রন্থ। যেখানে কোনো ভুল নেই। প্রিয়নবী মানুষের সার্বিক জীবনের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যাপারে উপদেশ দিয়েছেন। যখন যেখানে যা প্রয়োজন সময়ের চাহিদা অনুযায়ী তখন তা বর্ণনা করেছেন। তবে মানবতার কল্যাণে জন্য হলেও ৭টি ধ্বংসাত্মক কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
মানবতার কল্যাণে এমন ৭টি ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছেন, যা খুবই ঘৃণিত এবং মারাত্মক গোনাহের কাজ। হাদিসে পাকে এ সাতটি গর্হিত কাজের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে-
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী কাজ থেকে বিরত থাকবে। সাহাবাগণ জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো হচ্ছে-
১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা;
২. জাদু করা;
৩. যাকে হত্যা করা আল্লাহ তাআলা হারাম ঘোষণা করেছেন , ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা;
৪. সুদ খাওয়া;
৫. ইয়াতিমের সম্পদ (অন্যায়ভাবে) গ্রাস করা;
৬. জেহাদের ময়দান হতে পলায়ন করা;
৭. ঈমানদার নির্দোষ সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন ৭টি ধ্বংসাত্মক কাজের বর্ণনা দিয়েছেন, যা বর্তমান সময়ে মহামারি আকারে ধারণ করেছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও দেশে এর সয়লাব হয়ে গেছে। জুলম-নিয়াতন, শাসন-শোষণ, হত্যা ও দোষ চর্চা কোনোটিই থেমে নেই। মানুষ শান্তির জন্য হাহাকার কারছে। এ মুহূর্তে প্রিয় নবী (সা.) এর এ হাদিসের আমলই ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রীয় জীবন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আনতে পারে।
মুমিন মুসলমানের উচিত, উল্লেখিত গর্হিত সাতটি কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখা। বিশেষ করে মানুষ হত্যা, আল্লাহর সঙ্গে শিরক এবং সুদের ভয়াবহতা থেকে বিরত থাকা। সামাজিক শান্তির জন্য যাবতীয় অপবাদ থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক উল্লেখিত কাজগুলো বর্জন করে কোরআন-হাদিসের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-