অনলাইন ডেস্ক •
তানজিনা আক্তার এলাকায় ‘তানজিনা খালা’ নামে পরিচিত। তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের চাকরি দেন বলে সবাই তাকে এই নামে ডাকে। কিন্তু তিনি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের প্রথমে তার বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর তাদের দিয়ে করান যৌনবৃত্তির কাজ। এতে অপরাগত জানালে বেধরক মাড়ধরও করা হয়।
‘৯৯৯’— এ এক ভিকটিমের বাবার ফোন পেয়ে ভিকটিমদের উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মূলহোতা তানজিনা আক্তারসহ আরও দুই খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রবিবার ডবলমুরিং মডেল থানার আগ্রাবাদ সিডিএ ২৭ নম্বর রোডের মুখের একটি ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ১৪ ও ১৯ বছর বয়সী দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমের বাবা জানান, তারা জানতেন তাদের মেয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করছে। কিন্তু তাদের মেয়েদের দিয়ে যৌনবৃত্তি করাচ্ছিল এই তানজিনা খালা।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তানজিনা আক্তারের ৭ থেকে ৮ জনের একটি চক্রও আছে। সেই চক্রে সেকান্দর মিয়া, তার দুই স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও সাথী বেগম এবং শারমিন বেগম নামে এক মহিলা আছে। মূলত সেকান্দারই ঘুরে ঘুরে এসব মেয়ে সংগ্রহ করে। এরপর চাকরির নাম দিয়ে তানজিনার বাসায় এনে বিক্রি করে দেয়। গত ৩ মে এই একই কায়দায় এই দুইজনকে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয়। এরপর তাদেরকে যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করে। তারা রাজি না হলে কিংবা অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বেধড়ক মারধরও করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিমেদের মধ্যে কৌশলে একজন তাদের বাবাকে ফোন দেই। পরে ভিকটিমের বাবা ৯৯৯—এ ফোন করে জানালে ডবলমুরিং মডেল থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ ২৭ নম্বর রোডের মুখে ক্যাপ্টেন এর বাড়ীর নীচ তলা থেকে মূলহোতা তানজিনা আক্তারসহ আরও দুই খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বাকিরা এসময় পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-