বিশেষ প্রতিবেদক •
ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের একমাত্র পর্যটক জেটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানির উত্তাল ঢেউ জেটিতে আঘাত করতে থাকে। এতে জেটির পন্টুনে ফাটল দেখা দেয়। আজ বুধবার সকালে উত্তাল সাগরের ঢেউ আঘাত হানলে জেটির অধিকাংশ পন্টুন, রেলিং ও সিঁড়ি ভেঙে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্বীপে তরিতরকারিসহ খাদ্য পণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। তার উপর আজ উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের চাপে জেটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে দ্বীপবাসী।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা ও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-০৩ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে এই জেটি নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে দৈনিক ৫ থেকে ১২ হাজার পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই জেটি দিয়ে জাহাজে ওঠানামা করেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে জেটির পার্কিং পয়েন্ট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও দুটি গার্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই জেটিটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, জেটিটি অস্বাভাবিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-