বলরাম দাশ অনুপম •
কক্সবাজার উপকূলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত “ইয়াস” আঘাত হানার তেমন কোন আশংকা না থাকলেও মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও স্বেচ্ছাসেবক।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চতায় কয়েক ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার উপকূলের ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টারসহ এক হাজারের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বহুতল ভবন। পাশাপাশি সিপিপিসহ ৮ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী পরিবেশে সমুদ্র সৈকতও ফাঁকা, উত্তাল সৈকতে ওড়ানো হচ্ছে লাল নিশানা।
জানা গেছে, উপকূলের দিকে দ্রæত ধেয়ে আসছে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত ইয়াস। তবে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়টির গতি পরিবর্তন হয়েছে। শুরুতে ঝড়টির উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানতে পারে। অন্যদিকে ইয়াস বাংলাদেশের উপকূল থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনাও কমে গেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-