প্রেস বিজ্ঞপ্তি •
একটি সংক্রমণের ঘটনা কারাগারে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বন্দী ও কারাগারের কর্মীদের সহ সবাইকে একইভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) কারাগারের বন্দী এবং এর কর্মীদের মধ্যে করোনভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশের কারা অধিদপ্তরের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। এ লক্ষ্যে আজ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭০-শয্যা বিশিষ্ট, ফেনি জেলা কারাগার-২ এ ৪১-শয্যা বিশিষ্ট এবং কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-২ এ ২৮-শয্যার তিনটি আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন, যেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এবং আইসিআরসিরর মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতারই ফল।
কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়োজিত আজকের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোকাব্বির হোসেন, সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন, কারা মহাপরিদর্শক, কারা অধিদপ্তর, কর্নেল মোঃ আবরার হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, কারা অধিদপ্তর ও হেনিং ক্রাউসে, প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর, আইসিআরসি বাংলাদেশ।
কোভিড-১৯ মহামারীতে তিনটি কারাগারে আইসলেশন সেন্টার স্থাপনে আইসিআরসির সহায়তা প্রসঙ্গে কাতিয়া লরেঞ্জ, আইসিআরসি বাংলাদেশের হেড অফ ডেলেগেশন বলেনঃ “করোনাভাইরাস মহামারীতে কারাবন্দীরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে। কারাগারগুলো যেন ভাইরাসে আক্রান্ত বন্দীদের কারাগারে অবস্থানরত বাকি জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আলাদা করতে পারে সে ব্যাপারে তাদের সক্ষমতা থাকা জরুরি। আইসোলেশন সেন্টারে আমাদের সহযোগিতার মধ্যে এর নকশা ও স্থাপনার কারিগরি সহায়তা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা রয়েছে। এছাড়াও, আইসোলেশন কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্যানিটেশন সরঞ্জামের পাশাপাশি আসববাবপত্রও আমরা সরবরাহ করেছি।“
ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন, কারা মহাপরিদর্শক, কারা অধিদপ্তর বলেনঃ “কারাগারের অভ্যন্তরে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে কার্যকর ও ব্যাপক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য মহামারীর শুরু থেকেই কারা অধিদপ্তর ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে যেখানে সদর দপ্তরের সব কর্মী থেকে শুরু করে কারারক্ষী সহ সবাই জড়িত। এ কাজগুলো আমরা বিভিন্ন অংশীদারের সাথে একত্রে বাস্তবায়ন করছি, যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিআরসির সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রথম থেকেই ছিল। যেমন: কারাগারের কর্মীদের জন্য কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সুরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ, ৬৮টি কারাগারে পিপিইর নিয়মিত বিতরণ, এবং আজকের উদ্বোধনকৃত তিনটি আইসোলেশন সেন্টারের সংস্কার ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা।“
২০২০ সালে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকেই, আইসিআরসি মহামারী রোধে প্রয়োজনীয় দিকগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে পেরেছে এবং বন্দী ও কারাগারের অন্যান্য সদস্যদের এ মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে কারা অধিদপ্তরের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এছারাও, ২০২১ সালে, আইসিআরসি কারাগারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে কারা অধিদপ্তরকে নির্বাচিত কারাগারে এবং কারা অধিদপ্তর সদর দপ্তরে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) অনুদান দিয়েছে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন প্রকোপ সামাল দিতে কারা অধিদপ্তরের অনুরোধে বাংলাদেশ জুড়ে সমস্ত ৬৮টি কারাগারের জন্য আরেকদফার অনুদান প্রস্তুত করছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-