রাসেল চৌধুরী •
(মরহুম মুক্তিযোদ্ধা এম আবদুল হাই’র মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে সাংবাদিক রাসেল চৌধুরীর একটি লেখা ফেসবুকে ভেসে উঠেছে। লেখাতে একজনের প্রতি আরেকজনের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালবাসার বর্ণনা রয়েছে। অত্যন্ত আবেগ ও দরদ দিয়ে লেখা সেই সময়ের লেখাটি পাঠকদের জন্য হুবহু চাপিয়ে দেয়া হলো)-
মাত্র দু’দিন আগে আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, বাবা, তুমি আমার ছেলে, আমার পরিবারের সদস্য। আমার বড় সন্তান। অনেকদিন তোমাকে দেখি না, তুমি এসো। আমাকে দেখে যেও।
পিতার কথা মতো গিয়েছিলাম উনাকে দেখতে! তবে একটু দেরীতে। তাই তিনি অভিমান করে আমার সাথে কোন কথাই বললেন না! শুধু আমি নই, তাকে দেখতে তার বাড়ীতে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। এই হাজারো মানুষের মধ্যে ছিলেন বর্তমান ও সাবেক অন্তত ১০জন চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মান্যগন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সবাই তার বীরত্ব নিয়ে বলছিলেন, তিনি নিরব থেকে শুধুই শুনলেন, কারও কোন কথার উত্তর দিলেন না! তাকে কথা বলানোর অনেক চেষ্টা হলো, কান্নাকাটি করে চেষ্টা হলো জাগানোর। তিনি কোন কথা বললেন না, জাগলেনও না! পুলিশও আসলো! অস্ত্র উচিয়ে তারাও অনেক চেষ্টা করলেন ঘুম ভাঙ্গানোর!! (গার্ড অব অনার) কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বলে কথা! কেউ তার অভিমান ভাঙ্গাতে পারলেন না।
মনে হলো, তিনি সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো সাথেই কথা বলবেন না!
অবশেষে আমরা এই অভিমানী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদামনের মানুষটিকে পাঠিয়ে দিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে!
আল্লাহ! পরোপকারী এ মানুষটিকে তুমি বন্ধু হিসাবে কবুল করো, হেফাজত করো। জান্নাতবাসী করো, আমিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-