সুজাউদ্দিন রুবেল •
কঠোর লকডাউনে’ অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারের রাস্তাঘাট। পহেলা বৈশাখের নেই কোন আয়োজন।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শহরের রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। রাস্তায় দু’একটি রিকশা, মোটরসাইকেল এবং জরুরি সেবার গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে শহরের সব মার্কেট। শহরে এখন সুনসান নীরবতা।
শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। কেউ রাস্তায় বের হলে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। জরুরি কাজ থাকলে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে দ্রুত কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পুলিশি কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন এবং নানা নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে দায়িত্বপালনরত পুলিশ কর্মকর্তাদের।
এদিকে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবেই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করায় শহরের পানবাজারের পানাহার সুইটস্ এন্ড রেষ্টুরেন্টকে ২ হাজার টাকা এবং ফিশারীঘাটে অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি কারণে ২ জন পথচারি ৫’শ টাকা করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মাইকিং করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আজ বুধবার থেকে আটদিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই লকডাউনে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-