নিজস্ব প্রতিবেদক •
উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীরা ও প্রতিপক্ষরা।
শনিবার (২০ মার্চ) উখিয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথাগুলো বলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম।
তিনি বলেন, আমি নৌকার চেয়ারম্যান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে সততার প্রতীক আমার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিবের সহায়তায় এলাকার প্রচুর উন্নয়ন সাধন করি। অথচ প্রতিপক্ষরা হলদিয়ার উন্নয়নে বিভ্রান্ত হয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যে, আমার ভাই দেশে না থাকায় আর কোন কাজ করতে পারবো না। আমার ভাই দেশে না থাকলেও তার যোগ্য উত্তরসূরি রেখে গেছেন বলাতে আমার প্রতিপক্ষরা আমার বক্তব্যকে সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে বিকৃত করে অনলাইন মিডিয়া ও দৈনিক পত্রিকায় মিথ্যাভাবে প্রচার করে প্রশাসনকে আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।
চেয়ারম্যান শাহ আলম সারা হলদিয়ায় সরজমিনে ঘুরে দেখার চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মাঠে আমার কোন বদনাম আছে কি না আপনারা দেখুন। উখিয়ার অন্যান্য ইউনিয়নে নির্বাচনের কোন খবর না থাকলেও হলদিয়াপালং ইউনিয়নে দু’জন প্রার্থী মাঠ গরম করে সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে হলদিয়া শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা মাঠে ময়দান বক্তব্য দিচ্ছে তফসিল ঘােষণার পর আমাকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না । এখন থেকে আমার লোকজনকে গালিগালাজ ও মারধর করার হুমকি ও ভোট জোর করে কেটে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ-পদবীর মাধ্যমে দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসাবে মাঠে থাকা একজন আমিন মেম্বার গতবার নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলো। অন্যজন ইমরুল কায়েস চৌধুরীও তার ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভােট দেওয়ার অপরাধে আমার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে হিন্দু পল্লীতে আগুন দিয়েছিল, লুটপাট চালিয়ে ১৫ দিন যাবৎ তাদেরকে অবরােধ করে রেখেছিল । যার নজির এখনাে মানুষ ভুলে নাই। তাছাড়া তারা বিগত ১৯৯৯ সালে বিএনপির ৫ চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে উখিয়া থানা ছাত্রলীগের ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকে গুলিবৃদ্ধ করে আহত করেছিল। তারা মূলত আওয়ামীলীগ বিদ্বেষী লােক।
সবশেষে আমি বলতে চাই, আমার দীর্ঘ দিনের দলীয় ভাবমুর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কু- মানসে ও আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ঘায়েল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন খেতাবধারী শহীদ পরিবারের সন্তান আমার ভাই শফিউল আলম সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব, দীর্ঘ ৩৫ বছর সরকারের বিভিন্ন পদে গুরুদায়িত্ব সততা ও সুনামের সাথে পালন করে গেছেন। আমার পরিবার প্রশাসন বান্ধব পরিবার। আমরা সবসময় প্রশাসনকে সহযােগিতা করে আসছি।
প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে আমরা কোন অপকর্ম করেনি, যা প্রশাসনের লােকজন ভালো জানে। আমরা প্রশাসনের লােকজনকে সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে কথা বলি ও কাজ করি। যেহেতু প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা আমার ভাই ছিল সে বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ছিলাম, আছি ও থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-