টেকনাফ শামলাপুরে মাসব্যাপী পাট বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

তারেকুর রহমান •


টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুুরানপাড়া মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন মাঠে মাসব্যাপী পাট বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলা উদ্বোধন করা হয়।

স্বপ্ন ইভেন্টস্ এন্ড ম্যানেজমেন্ট এর আয়োজনে মেলা উদ্বোধন করেন টেকনাফ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলানা রফিক উদ্দিন।

এসময় মেলার প্রধান মো. ইসমাঈল, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. ইউনুস, আওয়ামীলীগ নেতা জাফরুল ইসলাম, মোবারক হোসাইন, আমিনুল হক, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ্ আল মিঠু, মোহাম্মদ শফিক, সাজেদুর রহমান, আব্দুল্লাহ্, শাহাব উদ্দিন, মাসুদ, মুনির হোসেন, হাসান ও জয়নালসহ এলাকার সচেতন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মেলা শুরু হয়েছে। এ মেলায় ক্রেতাসাধারণরা ৭০টি স্টল থেকে বিভিন্ন ধরনের পাট, তাঁত, হস্ত ও কুটির শিল্প- কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাটপণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারি, লেদার গুডস, অর্গানিক ফুডস, তৈজসপত্র, ইলেকট্রনিকস পণ্যসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও মজাদার আচার ক্রয় করতে পারবেন। মেলা চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাকালীন মেলায় আরো রয়েছে নারী-পুরুষের নতুন মডেলের কাপড়, কসমেটিক্স, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক খেলনা ও খাদ্যসামগ্রী। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষন হিসেবে রয়েছে মোটরসাইকেল প্রদর্শনী। রয়েছে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য চড়ার ট্রেন, নগরদোলা ও বিভিন্ন রাইডিং।

আকর্ষনীয় ও প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে আলোকসজ্জাসহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রধান ফটকে রয়েছে সুসজ্জিত একটি কাঠের তৈরি গেইট। গেইট দিয়ে মেলায় ঢুকতেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন পানির ঝর্ণা এবং আলোকসজ্জার উঁচু টাওয়ার। এগুলো মেলা প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে।

মেলার প্রথম দিন থেকেই মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয়। সমাগম হয়েছে নানা বয়সের মানুষের। দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থী, বিনোদনপ্রেমী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কলরবে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ।

মেলার অন্যতম আয়োজক ইসমাইল হোসেন জানান, ৩০ দিন ব্যাপী চলবে এ মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। মেলা প্রাঙ্গণে যাতে কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও নিরাপত্তাকর্মী সর্বদা সজাগ রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।

আরও খবর