মাহাবুবুর রহমান •
জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ২৭৩ জন করোনা টিকা নিয়েছেন। বেশির ভাগ মানুষ শহরাঞ্চলের বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের দাবী এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে করোনা টিকা নেওয়ার প্রবণতা অনেক কম। তবে অনলাইনে নিবন্ধন করা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ৬৪ হাজার ২৭৩ জন করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে সাধারণ মানুষ। তবে এখনো গ্রাম পর্যায়ে সর্বস্থরের মানুষদের মাঝে করোনা টিকা নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে করোনা টিকা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠি।
এ ব্যাপারে পিএমখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, গ্রামেও অনেক মানুষ টিকা নিয়েছে যারা সচেতন তারা গ্রাম থেকে গিয়ে টিকা গ্রহণ করেছেন। এমনকি অনেকে স্বপরিবারেও নিয়েছেন। মূলত কিছু মানুষ আছে যাদের বুঝানো মুশকিল তারা হয়তো এখনো টিকা নেয়নি। আবার কিছু মানুষ আছে অপেক্ষা করছে কি হয় সেটা দেখার জন্য। তবে আমার মতে সবার টিকা নেওয়া উচিত।
এদিকে রামু উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ বলেন, আমরা নিজেরা করোনার টিকা নিয়েছি এখনো যারা টিকা নিচ্ছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই প্রশাসনের লোকজন এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী সংস্থার লোকজন। গ্রামের একেবারে সাধারণ মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তিনি বলেন, মূলত গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কেন্দ্র সীমিত তার উপর অনলাইনে নিবন্ধন ঝামেলার কারণে গ্রামের মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছেনা।
মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা বলেন, এটা সত্য গ্রামের মানুষ এখনো করোনা টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এর মূল কারণ হচ্ছে অসচতেনতা, আবার অনেকে মনে করছে করোনা টিকা নিলে কি জানি কি হয়। আবার গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় একটি বিরুপ প্রচারণাও আছে তাই অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছে। তবে আমি মনে করি এক সময় করোনার টিকা টাকা দিয়ে নিতে হবে তাই সময় থাকতে সবাইকে করোনা টিকা নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড,ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,রআমি নিজে টিকা নিয়েছি বর্তমানে আমি খুবই ভাল আছি শরীরে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
তিনি জানান, একটা সময় মানুষ কখন টিকা আসবে সেটার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল কিন্তু সরকার সফল ভাবে টিকা আনার পরে একটি দেশ বিরোধী শক্তি পরিকল্পিত ভাবে মাঠে টিকার ব্যাপারে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মানুষকে টিকা থেকে বঞ্চিত করার অপচেস্টা চালিয়েছে কিন্তু জনগণ তাদের ফাঁদে পা দেয়নি মানুষ এখন প্রতি নিয়ত উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করছে তবে এটাও সত্য প্রান্তিক জনপদের বেশির ভাগ মানুষ এখনো টিকার বাইরে আছে। এটা মূলত সচেতনার অভাব। এ সমস্যা দূর করতে তিনি সরকারি ভাবে করোনা টিকার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা মুলক কর্মসূচী নেওয়ার আহবান জানান।
এ ব্যপারে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন,এ পর্যন্ত যারা করোনার টিকা নিয়েছে তাদের মধ্যে গুরুত্বর কেউ অসুস্থ হয়নি। কারো মাঝে কোন সমস্যাও দেখা যায়নি। প্রথম ধাপে আমাদের কাছে ৮৪ হাজার করোনা টিকা এসেছিল সেই অনুযায়ী আমাদের যে টার্গেট ছিল সেটা সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এটাও ঠিক গ্রাম পর্যায়ে মানুষ এখনো টিকা নিতে একটু আগ্রহী কম সে বিষয়ে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ প্রচারণা মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-