নিজস্ব প্রতিবেদক •
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে কক্সবাজার শহরে এসে গাঁজা বিক্রি করছে রোহিঙ্গা নারীরা। মাদক বিক্রেতা এসব রোহিঙ্গা নারীদের সহায়তাকারী হিসেবে পুরোনো অনেক রোহিঙ্গা যাদের বর্তমানে স্থানীয় হিসেবে জানা হয়।
সূত্রে জানা যায়- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প নং-২০, ব্লক-এস-৩, বি-৫ এর নুরুন নাহার (৩২) (রোহিঙ্গা), স্বামী-মোঃ জাবের, পিতা-মৃত আবু ফয়েজ, মাতা-মৃত মিনুয়ারা নামে এক যুবতী কক্সবাজার শহরে গাঁজা নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। এসময় তরে সাথে ছিলো- টেকনাফের স্থানীয় হিসেবে পরিচিত মোঃ ইসমাঈল (৪০), পিতা-মীর কাশেম, মাতা-মৃত গুলবাহার, সাং-পূর্ব পানখালী, ৪নং ওয়ার্ড, ইউপি-হ্নীলা এবং কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার স্থানীয় বলে পরিচিত কমলা বেগম (৩০), স্বামী-মোঃ মনছুর আলম, পিতা-মৃত মফিজুর রহমান, মাতা-দিলারা বেগম, সাং-খুরুলিয়া, কোনার পাড়া, ৮নং ওয়ার্ড।
র্যাব-১৫ এর ভাষ্য মতে এই তিন জন কক্সবাজার সরকারী কলেজ গেইট সংলগ্ন ‘ইত্যাদি রহিম ষ্টোর’ নামক দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিলো। এসময় তাদের হাতেনাতে আটক করে র্যাব-১৫’র আভিযানিক দল।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীদের সাথে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত মাদকদ্রব্য গাঁজার ব্যবসার সাথে জড়িত।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-