ডেস্ক রিপোর্ট • চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন (৫৫) এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে পার্শ্ববর্তী ভগিরাতপুর গ্রামের মো.আলী হীমের বাড়িতে নারী নিয়ে ফুর্তি করার সময় খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
মমিনুল ইসলাম মমিন একই উপজেলার নতিপোতা গ্রামের মাঝের পাড়ার মো. মাজেদুল ইসলামের ছেলে।
ভগিরাতপুর গ্রামবাসী জানায়, মমিনুল ইসলাম মমিন শনিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের এক নারীকে ফুসলিয়ে একই এলাকার ভগিরাতপুর গ্রামের আলী হীমের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসী মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিন মাস্টারকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এ সময় মমিনুল ইসলামের মাথায় আঘাত লেগে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় নেয়। এ ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং মমিনুল ইসলামকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে একটি মহল বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
এদিকে নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ওই এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন ষড়যন্ত্রের শিকার আমি।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক জানান, দুই পক্ষ পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করেছেন যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-