কনক বড়ুয়া শ্রাবন
সংবাদকর্মী
ভ্রমণ মানুষকে জ্ঞান অজর্ন করতে সাহায্য করে, ভ্রমণ পরমতসহিষ্ণুতা শেখায়, নতুন অচেনা কোনো দেশে গেলে মানুষ শিশু বয়সের বিস্মিত হওয়ার মত অনুভূতিটি ফিরে পায়। আমিও মানবজাতির সেই ভাবনার বাইরে কেউ না।
বলছি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের কথা। যেটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে প্রিয় একটি স্থান। সুযোগ পেলেই ভ্রমণপিপাসু মানুষজন এই স্থানটিতে ঘুরে আসতে চায়। তবে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার একমাত্র উপায় নৌপথ। টেকনাফ থেকেও যাওয়া যায় আবার কক্সবাজার থেকেও যাওয়া যায়। টেকনাফ থেকে বেশ কয়েকটি জাহাজ নৌপথে গেলেও কক্সবাজার থেকে ১টি। নাম কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। আমরা কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের একঝাঁক সংবাদকর্মী তথা ৪১ জন শীতের সকালে উঠলাম জাহাজে। উদ্দেশ্য ছিল সেই সেন্টমার্টিন। যেখানে ছিলাম আমিও।
সকাল ৭টায় কক্সবাজার নুনিয়ার ছড়া ঘাট থেকে ছাড়ল জাহাজ। নৌপথে যাচ্ছে যাচ্ছে, আর যাচ্ছে জাহাজ। খুব আনন্দই লাগতেছে আবার ভয়ও। তবে ভয়কে কাটাতে আনন্দগুলো যথেষ্ট ছিল। সকালে কিছু না খেয়ে জাহাজে উঠাতে ক্ষিধায় পেট কামড়াচ্ছে। ঠিক তেমন সময়ে হঠাৎ জাহাজে মাইকের আওয়াজ। বলা হচ্ছে সবাই নাস্তার পেকেট সংগ্রহ করুন। ঠিক তখনই দিলাম দৌড়। যাচ্ছি জাহাজের দুতলা থেকে নিচতলা। সেই খেলাম একটি লোহাতে বড় হোছট। হায়রে ক্ষিধা, ক্ষিধার জ্বালায় পা পেল এক কস্ট। যাই হউক সংগ্রহ করলাম নাস্তা। খেয়ে ক্ষুধামুক্ত করলাম পেট বাবাজিকে।
সাগরের মৃদু ঢেউয়ে দুলতে দুলতে চলতে লাগল জাহাজ। ঠিক ঐ সময় কুয়াশার জাল সরিয়ে উঁকি দিল হাল্কা মিষ্টি রোদ। সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলতে চলতেই খেয়াল করলাম আকাশের গায়ে আগুন লেগেছে! মূর্হুমূহু আকাশ তার রঙ পাল্টাচ্ছে। এই এক অপরুপ মন মাতানো অনুভুতি।
যাত্রালগ্নে মধ্যসাগরে গিয়ে দেখতে পেলাম আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার।
অপেক্ষায় ছিলাম সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সমুদ্রপথের অনন্য সৌন্দর্য্যের গাঙচিল পাখির। বড়ই আপসোস, সেই পাখির কোন দেখা পাইনি এ যাত্রায়। তবে প্রকৃতি আমাদের যে রূপ দেখালো তাতেই আমি এবং আমরা বিমুগ্ধ!
দীর্ঘ নৌপথ পাড়ি দিয়ে হঠাৎ দেখা মিলে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের। খুশিতে নেচে উঠল এই উদাস মন। সে অদ্ভুত এক শিহরণ! উত্তাল ঢেউ তার সাথে উত্তাল আমার এই কচি মন।
টান টান উত্তেজনায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা সময় কীভাবে নৌপথে কেটে গেল, টের পেলাম না। যেন এক স্বপ্নযাত্রায় ভেসে এলাম সেন্টমার্টিন।
আটকে গেলাম আরেক ঝামেলায়। জাহাজে পর্যটকে প্রচুর জ্যাম। জাহাজ থেকে শুরু করে পুরো সেন্টমার্টিন জুড়ে চারদিকে গিজগিজ করছে পর্যটক। সব ঝামেলা অতিক্রম করে কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিনে রাখলাম পা। একঝাঁক অনলাইন সংবাদকর্মী ঘাট থেকে হোটেলের উদ্ধেশ্যে রওনা দিলাম। সবার গাঁয়ে “প্রেস” আর “কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব” লগুযুক্ত পোশাক। রাস্তার দুপাশ থেকে অবাকচোখে তাকিয়ে আছে সেন্টমার্টিনবাসী এবং দুরদুরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা।
১৭ বর্গ কিলোমিটারের এই দ্বীপে আমরা একযোগে ঢুকতেই দেখতে পাই রাস্তার দুপাশে সাড়ি সাড়ি দোকান আর রেস্তোরাঁ। বেশ কিছু রেস্তোরাঁর সামনে দেখা যায় সাড়ি সাড়ি ভাবে থালার মধ্যে সাজানো রয়েছে মসলায় মেরিনেট করা রকমারি সামুদ্রিক মাছ। দেখে আমরা সবাই অবিভূত, আপ্লুত এবং আনন্দিত।
৬ ঘন্টার নৌপথ, একটু তো সবাই ক্লান্ত। তাই সবার মন রিসোর্টে। রাখতে হবে কাপড়ের ব্যাগ। সবার হতে হবে ফ্রেস। জাহাজ ঘাট থেকে প্রায় ১০ মিনিট পর্যন্ত ভারী ব্যাগ গুলো কাঁধে নিয়ে হাটলাম সবাই। সবাই আমাকে ছেড়ে গেছে। হয়ে গেলাম একা। আমাদের রিসোর্ট ছিল “সী প্রবাল বীচ রিসোর্ট”।
পথচারী পর্যটকদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করতে করতে অবশেষে পৌছালাম রিসোর্টে। এক দরজায় দুটি রুম। থাকবো ৮জন। স্নানঘর তথা বাথরুম একটি। খুবি অপরিস্কার দুটি রুম। ৮ জনই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ফ্লোরেই থাকবো। পরে হোটেল বয় গিয়ে সবকিছু পরিস্কার করে দিল। তারপর একটু স্বস্তি পেলাম।
রুমে গোছগাছ সেরে, পোশাক পাল্টে বের হওয়ার আগেই পাশের রুম থেকে হঠাৎ শুনি-
“সবাই তাড়াতাড়ি বের হউন রুম থেকে। রিসোর্টের রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসুন, সবার জন্য দুপুরের খাবারে ‘মোচা’ আছে। যে বলতেছে সে আর কেউ না, আমাদের সবার প্রিয় নান্দনিক একজন মানুষ আকতার চৌধুরী স্যার।
রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম রেস্তোরাঁয় উৎফুল্ল মন নিয়ে। বসলাম রেস্তোরাঁয়। মোচা খুলতেই যেন পেয়ে গেলাম ঐতিহাসিক ঘ্রাণ। মোচায় ভাত ছিল আঠালো। আরো ছিল ডিম, আলু ভর্তা, মরিচ ভর্তা, মুরগি আর ডাল। সব মিলিয়ে অন্যরকম টেস্ট। খাওয়া শেষ করে বের হতে না হতেই ফেইজবুকে ঢুকে দেখি আঞ্চলিক শহরের, গ্রামের বাস্তবতা নিয়ে সবার পরিচিত লেখক আলমগীর স্যারের ফেইজবুকে মোচা নিয়ে হৃদয় জাগানো স্ট্যাটাস।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঝড় উঠলো এই স্ট্যাটাস নিয়ে। স্ট্যাটাস কে “মোচা” হেডলাইনে উখিয়াখবর ডটকম অনলাইন পোর্টালর নিউজে প্রকাশ করলো উখিয়া অনলাইন প্রেমসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ ভাই। পরে পুরো কক্সবাজারে অনলাইন পোর্টাল জুড়ে মোচা হেডলাইনে নিউজ পাবলিশ হচ্ছে। এই যেন ফিরে পেলাম সেই ১৪/১৫ বছর আগের শৈশবকাল।
রুমে ঢুকে একটু বিশ্রাম নিতে না নিতেই বাকী সমবয়সী সংবাদকর্মীরা রুমে আর থাকতে দিলো না। সবাইকে ডাকছে সমুদ্রের সেই সৌন্দর্য্য। ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পরলাম ওই সৌন্দর্য্য উপভোগ করার উদ্দেশ্যে। তখন কোথায় যাব, কোথায় ঘুরব টগবগে উত্তেজনা।
ঠিক তখনই আমরা চারজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম সাইকেল নিয়ে ঘুরবো। আমি, দুই রিদুয়ান আর আলাউদ্দিন গেলাম সাইকেল ভাড়া করতে। সাইকেল ভাড়া কত জিজ্ঞেস করাতে বলে উঠলো ঘন্টায় ৫০ টাকা। তখন আমরা বলে উঠলাম আমাদের ভাষায়-
“বদ্দা অ্যাঁরা টেকনাইপ্পা, অ্যাঁরাত্তু ৫০ টিয়া কেনে গাঁথি দিবা, ঢাহাইয়া অলত্তুন লইঅনা ৫০ টিয়া। ৪০ টিয়া লইঅ বদ্দা”। ঠিক তখনি দোকানদার বলে উঠলো- “আইচ্ছা বদ্দা লন না, মুরে ৪০ গরি দিঅন তইলে। এ ভাষায় তাদের সাথে কথা বললে নিজের ভিতর আঞ্চলিকতার হিরোর ভাব চলে আসে।
তাকে বললাম ভাই এখানে সাইকেল নিয়ে কোনদিকে যাবো, কিভাবে গেলে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবো? তখন সে নারকেল জিনজিরা, কেয়াবন, মেইন বিচ, সমুদ্র বিলাস, কটন গার্ডেন এমন অনেক জায়গার নাম বলল।
তারপর গেলাম দ্বীপের দক্ষিনে ছোট্ট একটি রাস্তা দিয়ে। যেতে যেতে দেখলাম এক বিশাল তরমুজের ক্ষেত। তরতাজা কচি তরমুজের সমাহার। আমরা চারজনে পারলাম না আর লোভ সামলাতে। তখন ১০০ টাকা দিয়ে তরমুজ একটা নিয়ে খেয়ে লোভের তৃপ্তি মেটালাম। খুবি স্বাদ।
তারপর আরো যেতে যেতে মিঠে রোদের বিকেলে প্রবাল পাথরে ঠাসা সৈকতটাকে দারুণ লাগছিল। ধুলো নেই, ধোঁয়া নেই, হইচই বা যান্ত্রিক তেমন শব্দ নেই, গাড়ির বা কারখানার দূষণ নেই, নোনা জলো হাওয়ায় জীবনের যেন তাজা ঘ্রাণ নিচ্ছি। তখন সাইকেল নিয়ে নেমে পড়লাম ছোট ছোট শামুক-ঝিনুক আর শেলে ঠাসা সমুদ্র সৈকতে। সাইকেল দাড় করিয়ে নানা ভঙ্গিমায় ছবি তুললাম আমরা।
“সূর্য ডুবে তোমারি নামে” আলাউদ্দিনের মুখে এই স্লোগানে সৈকত ঘেষে সাইকেল নিয়ে চলিলাম আমরা চারজন। কখনো সাইকেল কাঁধে হাটছি, কখনো সাইকেল চালাচ্ছি। অবশেষে ঘন্টা পেরিয়ে ফিরিয়ে দিতে হলো ৪০ টাকায় ভাড়া করা সেই সাইকেল।
সাইকেল দিয়ে আবারো নেমে পরলাম সৈকতের টানে সমুদ্রের পাড়ে।
“টক, ঝাল, মিষ্টি”
বলছি এক প্রকার সেন্টমার্টিনের আইসক্রিমের কথা। দুজনে মিষ্টি আর আমি নিলাম ঝাল টা। বাহ! চুমুকেই অন্যরকম স্বাদ খুজে পেলাম। যা আমার জীবনেরই প্রথম। তিন কালারের আইসক্রীম। খেলাম চটপটিও। সব শেষে সন্ধ্যা নামল।
সৈকত ছেড়ে দ্বীপের বিশেষ নাস্তা খাওয়ার জন্য উঠে এলাম বাজারে। হাটতেছি, হাটতে হাটতে একটি দোকান থেকে একজন আওয়াজ দিচ্ছে-
“আসেন ভাই আসেন, সেন্টমার্টিনের ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত ফ্লাইং ফিস খেয়ে যান”
হঠাৎ এমন বাক্য শুনে গেলাম ঐ দোকানে। সামনে মসলা মাখানো রকমারি মাছের ডিসপ্লে। বেছে নিলাম ফ্লাইং ফিস। সঙ্গে দুটো কাঁকড়া। উফ, টাটকা সে মাছগুলো আর কাঁকড়ার যে স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে!
এরপর রাত ৯টায় শুরু হলো লটারি আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লটারির মূল্য ৫০ টাকা। বলা হচ্ছে আইফোন দিবে। আমি নিলাম দুটো। অন্যদিকে চলছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাহ! সেখানে আকতার স্যারের কন্ঠে গাওয়া “বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা” গানটি এখনো কানের আশাপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। হৃদয় টা আরো নাড়া দিচ্ছে মোস্তফা স্যারের “মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা গানটি। প্রিয় শাহীন মাহমুদ রাসেল ভাইসহ বাকীদের গানও কিন্তু কম ছিল না। সময় টা কেটেছিল গানের উত্তেজনায়।
তারপরও আসলো লাকি কুপন ঘোষণার পালা। সবাই তাদের ভাগ্য নির্ণয়ের অপেক্ষায়। রাত হলেও চলে গেছে চোখের ঘুম। সবার চোখ লটারির সেই টুকেনের দিকে। লটারির ভাগ্য টা আমার একদম নেই। তবে অবাক করার বিষয় এটা যে ১০/১২ টা লটারির মধ্যে বেশিরভাগই পেয়েছে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে এই পর্বে আমার বড় একটা পাওয়া হচ্ছে কক্সবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব থেকে দেয়া স্মৃতিস্মারক একটি ক্রেস্ট।
সব শেষে সমুদ্রের গর্জনের টানে মধ্যরাতে নেমে পরলাম সৈকতে। গিয়েই বসলাম সৈকতের সেই বালির উপর। চোখ বন্ধ করলে সমুদ্রের একটানা গর্জন শুনি আর চোখ খুললেই দেখি মস্ত বড় একটা চাঁদ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। জীবনটা বড় সুন্দর মনে হয় তখন। জ্যোস্নাবিলাস শেষে অনেক রাতে ফিরলাম রিসোর্টে।
রাত পেরিয়ে পরদিন নাস্তা খেয়ে শুরু হল এক ঝাঁকজমক ফুটবল ম্যাচ। যেখানে অংশ নিয়েছে অনলাইন প্রেসক্লাবের নানান বয়সের সংবাদকর্মীরা।
দুর্ভাগ্যবশত আমার শরীর টা অসুস্থ থাকায় খেলায় অংশগ্রহন করতে না পেরে বড়ই আপসোস থেকে গেল। তবে সেই ফাকে বাদ দেইনি প্রবাল দ্বীপের সেই সৌন্দর্য্যের সাথে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে ফটোশেসন পর্ব।
ফটোশেসনের পরে ছোট্ট একটি চায়ের দোকানে বসলাম আমি আর রিদুয়ান দুই ভাই। চা নিলাম আর চায়ে চুমুক দিতে দিতে হয়ে গেল দোকানদারের সাথে একটি আলোচনা। সেন্টমার্টিন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন ক্ষুদ্র একটি দ্বীপ। যেখানে আছে ৯টি ওয়ার্ড এবং ৯টি মেম্বার। তারমধ্যে একজন চেয়ারম্যানও রয়েছে। ছেড়াদ্বীপেও একটি পরিবার আছে বলে জানান তিনি।
সবশেষে দুপুরের খাবার খেয়ে দুইটার দিকে বেজে গেল সুন্দর এই দ্বীপ ভ্রমণের বিদায়বেলা। সবাই ক্লান্ত। হাটি হাটি পা পা করে সবাই জাহাজে পা রাখলাম। সাগরের ছন্দময় গর্জনকে পেছনে রেখে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম সবাই। চিন্তায় ছিলাম ৬ঘন্টার যাত্রায় খুব বিরক্তিকর হয়ে যাবো আবারো। কিন্তু না, আসতে আসতে রাত ঠিক আটটার দিকে জাহাজের উপর তলা থেকে ডিজে গানের আওয়াজ শুনি। উচ্ছাসিত পুরো জাহাজ। উঠে দেখি গানের তালে তালে এক যুবক নাচতেছে। চারদিকে ঘিরে রয়েছে প্রচুর পর্যটক। আমি বা কেমনে আলাদা থাকি। আমিও যোগ দিলাম আর নিজের বিরক্ত টা কাটিয়ে উঠলাম।
ঠিক সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার নুনিয়ারছড়া জাহাজ ঘাটে পৌছালাম আমরা একঝাঁক কলম সৈনিক। সব মিলিয়ে ভ্রমণ টা ছিল অবিস্মরণীয়।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতেছি আবিষ্কারের জন্য যাত্রা করুন, স্বপ্ন দেখুন এবং শেষমেশ আবিষ্কার করুন। বছরে একবার এমন জায়গায় যান যেখানে আপনি আগে কখনো যান নি। জাগ্রত করুন আপনার লুকিয়ে থাকা জ্ঞান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-