ডেস্ক রিপোর্ট •
এক পথচারী সড়কের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বাসটি দ্রুতগতিতে চলে আসে। ওই পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে হঠাৎ ব্রেক করেন বাসচালক। এতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর আড়াআড়ি অবস্থায় উল্টে যায় বাসটি। এরপর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটির মাঝ বরাবর ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে ১০ যাত্রী নিহত ও ৩৫ জন আহত হন।
বুধবার বিকেলে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের যশোর ও ঝিনাইদহের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের সবার পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক কৃষক জানান, বুধবার জে কে পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে সড়ক পার হওয়া এক পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করায় বাসটি উল্টে যায়। ওইসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি বাসের মাঝামাঝি সজোরে ধাক্কা দেয়। এতেই বাসের ১০ যাত্রীর প্রাণহানি হয়। পরে ট্রাকটি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কামাল হোসেন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, আমি যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে বাসে উঠি। বাসটি বেপরোয়াভাবে চলছিল। সড়কের বারোবাজার শহর পার হয়ে কিছু দূর আসতেই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়। এরপর কী হয়েছে আমার মনে নেই।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উল্টে পড়ে থাকা বাস থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আহতদের উদ্ধার করে যশোর ও কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-