অনলাইন ডেস্ক •
মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু হয়েেছে। বড় সমাবেশ ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। তবে তা উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার সকালে ইয়াঙ্গুনের স্যুল প্যাগোডা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছেন বলে একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের
মিয়ানমারে কয়েকটি শহরে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ ও মার্শাল ল জারি করা হয়েছে। এসব উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছেন মানুষ। অং সান সু চিসহ রাজবন্দিদের মুক্তি ও সেনা শাসনের অবসানের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার প্রথম জনসমক্ষে আসেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি অভ্যুত্থানের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সোমবার ইয়াঙ্গুন ও মান্দালয়ে স্মরণকালের বড় বিক্ষোভ করে মিয়ানমারের লাখো শ্রমিক-জনতা। জান্তা সরকারের জন্য নিরাপদ বিবেচিত নেপিদোতেও অভূতপূর্ব বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন শহরের দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গেছে গ্রাফিতি ও প্রতিবাদী চিত্রকর্ম। বিক্ষোভকারীদের হাতে দেখা গেছে প্রতিবাদী ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। তাতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা রয়েছে। কয়েকটি স্লোগান এমন- ‘আমাদের নেতাদের মুক্তি দাও’, ‘আমাদের ভোটারদের সম্মান দেখাও’, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করো’, ‘সেনা অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করো’, ‘স্বৈরতন্ত্রকে না বলো’।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-