মুহাম্মদ হানিফ আজাদ, উখিয়া •
উখিয়ার রোহিঙ্গা কবলিত কুতুপালং বাজারে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড নিয়ে ঔষুধের দোকান গড়ে কোটিপতি হয়েছে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ক্যাডার্র ফয়সাল আনোয়ার বলে খবর পাওয়া গেছে।
সে বিউটি ফামের্সীর আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা কামাই করেছে। কুতুপালং বাজারে ছমিউদ্দিনের মার্কেটে তার এ দোকান।
১৯৭৮ সালে মিয়ান সমারিক সরকার রোহিঙ্গাদের উপর নিযার্তন করলে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত গেলেও কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থেকে যায়।
এ রোহিঙ্গা ডাক্তার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ড করেছে। নাম লিখেছে ভোটার তালিকায়। তার নাম ফয়সাল আনোয়ার বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা কবলিত বাজারে অর্ধ শতাধিক অবৈধ ওষুধের দোকান রয়েছে বলে সূত্রে জানায়।
কতিপয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঐ সব ঔষুধের দোকান চলছে বলে জানা যায়।
সম্প্রতি কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের সিআইসি জিপি দেওয়ান নুরুল হক নামের একজন স্থানীয় লোকের ফার্মেসী থেকে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা বিভিন্ন প্রকার ঔষুধ জনগণের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পেলে। কয়েকদিন ধরে কুতুপালং ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট সিআইসিরা মাইক যোগে রোহিঙ্গা ডাক্তারদের জানিয়ে দিয়েছে দোকান বন্ধ করতে।
এছাড়াও ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্বর্ণের দোকান ও কম্পিউটারের দোকান চালানো যাবে না। উখিয়ার মনির মার্কেট এলাকার স্থানীয় নুরু হকের ঔষুধের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ায় সে বর্তমানে প্রসাশনের ধারে ধারে ঘুরছে। উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ বলেন ঔষুধ জব্দ করলেও কোন দিন প্রসাশন জনগণের মাল পুড়িয়ে পেলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন রোহিঙ্গা চাকরিরত ক্যাম্প ইনচার্জেরা রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাদা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বানিজ্য করার সুযোগ দিচ্ছে। যার ফলে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রতি নিয়ত আধিপ্রত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনাখুনির ঘটনা গঠেছে। এ ব্যাপারে তিনি ঐ সব কতিপয় ক্যাম্প ইনচার্জদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কুতুপালং বাজার কমিটির সভাপতি ০৪নং রাজাপালং ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন ছমিউদ্দিন মার্কেটে একজন রোহিঙ্গা ডাক্তারের ঔষুধের দোকান রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন ঐ রোহিঙ্গা ডাক্তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গা ডাক্তার ফয়সাল আনোয়ার বলেন আমি ২০ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমি জমি ক্রয় করে কছুবনিয়া গ্রামে ঘর নিমার্ণ করেছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-