গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •
গভীর রাতে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লেগে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে প্রায় ৫ শতাধিক বসত ঘর। উক্ত ঘটনায় কারো মৃত্যু না হলেও ২০/৩০জন নারী-পুরুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গারা।
তথ্য নিয়ে জানাযায়,১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) গভীর রাত ২টার দিকে হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লক এলাকার বুইগ্গানি নামে এক নারীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এক ঘন্টার মধ্যে শিবিরের পুরো ব্লকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ অন্য শিবির থেকে রোহিঙ্গারা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কিন্তু এর আগেই এই অগ্নিকান্ডে ই-বল্কের ৪ ৩৫টি রোহিঙ্গা বসত ঘর,১টি ইউএনএইচসিআর কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয়দের বসত বাড়ীসহ সর্বমোট ৪৪০ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। তবে এই অগ্নিকান্ডের কি কারনে হয়েছে তার সঠিক সত্যতা কেউ কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটেছে। আবার অনেকে ধারনা করছেন হয়তো কেউ ধ্বংসাত্নক মনোভাব নিয়ে অগ্নিসংযোগ করতে পারে।
এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান কক্সবাজার জার্নালকে গভীর রাতে হঠাৎ অগ্নিকান্ড এবং ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে এই অগ্নিকান্ড কি কারণে হয়েছে তার সঠিক উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলে অগ্নিকান্ডটি কি কারনে হয়েছে তার প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়,১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পূর্ণবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা শিবিরটি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-