গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •
টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা পৃথক ২টি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১০ কোটি টাকা মুল্যমানের ৩ লাখ,২০ হাজার ইয়াবার একটি ২টি চালান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
বিজিবির পাঠানো তথ্য সূত্রে জানা যায়,১২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতের দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওয়তাদ্বীন হ্নীলা দমদমিয়া বিওপিতে কর্মরত সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে মিয়ানমার থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান হ্নীলা ওমরখাল সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ভোর রাত ৩টার দিকে বিজিবির একটি দল ঐ এলাকায় অবস্থান নেয়। কিছুক্ষন পর বিজিবি ডিভাইস ক্যামরার মাধ্যমে দেখতে পায় মাদক পাচারে জড়িত দুস্কৃতকারী তিন জন ব্যক্তি বেশ কয়েকটি বস্তা কাঁধে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে ওমরখালের দিকে আসছে।
এরপর বিজিবি সদস্যরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে অপরাধীরা বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্র মাথার উপর থাকা বস্তা গুলো ফেলে রাতের আঁধারে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে কোন অপরাধীকে আটক করতে না পারলে ইয়াবাবর্তী ৪টি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
জব্দকৃত বস্তা গুলো খুলে ৮ কোটি,২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের ২লাখ,৭৫হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
অপর দিকে একই রাতে হ্নীলা বিওপিতে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা গভীর রাত দেড়টা থেকে ভোর রাত ৪টার পর্যন্ত হ্নীলা ওয়াবরাং নাফনদী সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১কোটি,৩৫ লাখ টাকা মুল্যমানের ৪৫ হাজার ইয়াবা ভর্তী একটি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন পাচারকারীরা কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার কারনে কোন অপরাধীকে আটক করতে পারেনি বলে জানান বিজিবি।
এই দুইটি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবা গুলো পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রকব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ২ বিজিবি সদর দপ্তরে জমা রাখা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-