হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •
দৈনন্দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া মালভিটা পাড়া প্রবেশমুখের (পুলের) পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ও কোটবাজার প্রবেশমুখের সড়কের পূর্বপাশে আবর্জনার স্তুপ। তাছাড়া উখিয়া বঙ্গমাতা মুজিব মহিলা কলেজের রাস্তার পাশে খোলা জায়গাটি যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল বলেন, আমি প্রেস ক্লাব থেকে সন্ধ্যায় বের হওয়ার সময় দেখি উখিয়া স্টেশনের হোটেল রেস্টুরেন্টের ময়লা ভ্যানে করে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। আমি তাদের সাথে কথা বলি। তারা হোটেল মালিকরা এখানে ফেলতে বলেছেন বলে জানান। রাতের আধারে এসব নোংরা ময়লা ফেলায় দুগর্ন্ধে পথচারিদের কষ্ট হয়।
সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, আমি উখিয়া থেকে কোটবাজারে যাওয়ার সময়ে কোটবাজার প্রবেশমুখে সিএনজি গ্যাস নেওয়ার পর যাওয়ার পথে নাকে রোমাল দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশ্রি দুগর্ন্ধ। তার মতে পুরো উখিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ময়লা স্টেশন-এ পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা আসার কারণে উখিয়ায় প্রচন্ড চাহিদা থাকায় অফিস ও বাসা ভাড়া দেয়ার জন্য অট্রালিকা দালান নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাড়া বাসার ও হোটেলের ময়লা যত্র-তত্র সড়কের পাশে খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। দীঘর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে জায়গাটি একটি বিশাল আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। যা এখন রাস্তার পাশ থেকে মূল কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ফলে দুগর্ন্ধে সাধারণ পথচারিদের কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়।
উখিয়া-কোটবাজার, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, বাইক নিয়ে যেতে ভয় লাগে। ময়লার বস্তা অনেক সময় কুকুরে টানাটানিতে রাস্তার উপরে আইসা থাকে। রাতের বেলা দুই ব্যক্তি একটি ভ্যানগাড়িতে চার বস্তা আবর্জনা নিয়ে এসেছেন। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর ভ্যানটি দাড় করিয়ে আবর্জনার বস্তা ফেলছেন রাস্তার পাশে খোলা জায়গায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের একজন বলেন, সবাই তো ফেলায়, আমরা ফালাইলে দোষ কী। অপর ব্যক্তি বলেন, উখিয়া দারোগা বাজারের বয়লার মুরগি ও মাছ কাটার অবশিষ্ট অংশ প্রতি রাতেই এভাবে ফেলাই। অভ্যাস হয়ে গেছে। আপনি মানা করছেন আর ফালামু না। আগে কেউ মানা করে নাই। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় আমরা একদিন এদিকে অন্যদিন অন্যদিকে এমন কি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কেউ না দেখার মতন ফেলে দিয়ে চলে আসি।
স্থানীয় আবু আহলাম জানান, উখিয়ার কোথাও আবর্জনা ফেলার বা সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে আবর্জনা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেই। তাই জনভোগান্তি চরমে। উখিয়ায় পৌরসভা না থাকায় কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। তাই উখিয়াবাসি পৌরসভা বাস্তবায়নের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-