কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ড্রেনগুলো যেন উন্মুক্ত ডাস্টবিন!

ইমরান আল মাহমুদ •


কক্সবাজার-টেকনাফ শহিদ এটিএম জাফর আলম সড়কের পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেইন নির্মাণ করা হলেও তা ময়লা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে।

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ৭৯ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংস্কার কাজ প্রায়ই শেষ পর্যায়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশে ড্রেইনের উপর দেওয়ার জন্য নির্মিত স্লেপ দীর্ঘদিন সড়কের পাশে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে।

সরেজমিনে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোর্টবাজার স্টেশনে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা ময়লা আবর্জনার স্তূপে ভরে গেছে। অধিকাংশ স্থানে ড্রেনের উপর মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে ড্রেনের উপর ময়লার ভাগাড় হওয়াতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ পথচারীরা।

পথচারীদের কয়েকজন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হলেও সড়কের পাশে দীর্ঘদিন স্লেপ রাখায় চলাচলে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

অপরদিকে, সড়কের দুইপাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত দখলে চলে যাওয়ায় দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। যার ফলস্বরূপ প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ট্রাফিক বিভাগের দাবি,অদক্ষ চালকদের কারণে শত চেষ্টা করেও বরাবরের মতোই যানজট লেগেই থাকে।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি,অধিকাংশ স্থানে ময়লা আবর্জনায় ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে বর্ষাকালে পানি চলাচল ব্যাহত হয়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তারা। ভবিষ্যৎ সমস্যা চিহ্নিত করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উপর কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধির আহবান জানান তারা।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে বিষয়টি অবগত করতে বলেন।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু সালেহ’র( 01313-091446) নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে,কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা সড়ক জনগণের কল্যাণে সুফল বয়ে আনবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিকভাবে তদারকি করে চলাচল উপযোগী করে তোলা না যায়। এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহল সহ সাধারণ মানুষের।

আরও খবর