হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া •
মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা শীতে কাপঁছে। যে কোনো মুহুর্তে রোহিঙ্গারা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এরই মধ্যে নানান রোগ বালাই নিয়ে চরম মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ময়নাঘোনা ক্যাম্প এগারো এর ছৈয়দুল্লাহ জানান, আমরা এখনো রাতে ঘুমালে স্বপ্ন দেখি,২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা গুলি করে মারছে আমার ভাইকে। বোনকে ধর্ষণ করে বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার সেই ভয়াবহ স্মৃতি। ওপারের তুলনায় এপারে আমরা অনেক ভালো আছি। প্রচন্ড শীত ও গরমে আমাদের পাশে রয়েছেন বাংলাদেশের মানবিক মানুষগুলো। দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর সহায়তায় তারা নিরাপদে সুস্থ সুন্দর থাকলেও স্থানীয়রা রয়েছেন চরম বেকায়দায়।
উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্যে সরকার ২৫ কিংবা ৩০ শতাংশ বরাদ্ধের কথা বললেও তা কোথায় কোন কাজে ব্যয় হচ্ছে তা আমি জনপ্রতিনিধি হয়েও জানতে পারি না। তাই স্থানীয় অসহায় মানুষগুলো আজ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একটি গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কাঁপছে। শীতে কাবু স্থানীয়দের পাশাপাশি লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
বিশেষ করে অসহায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, গরিব ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তার ওপর ঘন কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঘন কুয়াশার মাত্রা। ফলে প্রধান সড়কে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রন্তদের ভিড়। দিনদিন তাপমাত্রা কমছে। জানুয়ারিতে শীত আরও বাড়বে।
তাই রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের আহবান জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। উখিয়া-টেকনাফ তথা কক্সবাজারে কুয়াশা কম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হানা দিয়েছে কনকনে শীত। ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। এর থেকে রেহায় পাচ্ছে না পশুপাখিও। তাপমাত্রা দিনের বেলা একটু বাড়লেও সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কমছে। রাতে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শীতের পোষাক জড়িয়েই দৈনন্দিন কাজ সারতে হচ্ছে লোকজনকে। শীতকে মোকাবিলায় গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে ক্রেতাসাধারণ।উখিয়ার বাজারগুলোতে সাশ্রয়ী দামে শীতবস্ত্র বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় বেশি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-