ভাস্কর্য ভেঙ্গে জনগণের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরে রাখা যাবে না

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি •


বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মকে পুঁজি করে অরাজকতা তৈরি করছে। এদের উদ্দেশ্য একটি। ৭১ সালেও তারা এ দেশকে অস্বীকার করেছিল। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্মের নাম করে অশান্তি তৈরি করলে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করেছে।

এই অপশক্তি জাতির জনককে সপরিবারের হত্যা করেও ক্রান্ত হয়নি। তারা জাতির জনকের স্মৃতিও জাতির মন থেকে মুছে দিতে চায়। তাদের এই অপচেষ্টা কোনদিন সফল হবে না। বাংলাদেশের মানচিত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের প্রতিটি জনগণের হৃদয়ের অবস্থান করছে। ভাস্কর্য্যের বিরোধিতা করে জনগণের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরে রাখা যাবে না।

গতকাল বিকাল ৩টায় কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কক্সবাজার পৌরসভা চত্ত্বরে কুষ্টিয়ায় জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাংচুর করার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল মানববন্ধনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডঃ সিরাজুল মোস্তফা একথা বলেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, যুবলীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডঃ রণজিত দাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাইছারুল হক জুয়েল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক রাসেদুল হক সোহেল ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আওয়ামী লীগের উপর বার-বার আঘাত করেছে। জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাংচুর করে যে দৃষ্ঠতা দেখিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। বাঙ্গালী জাতি এই চক্রকে কোনদিন ক্ষমা করবে না।

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন এই স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী চক্রকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীর সন্তান মৌলানা মামুনুল হককে কক্সবাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। স্বাধীনতা বিরোধী এই চক্রের ব্যাপারে দেশপ্রেমিক সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রভু পাকিস্তানে মোহাম্মদ আলীর জিন্নাহ’র ভাস্কর্য রয়েছে। এটি নিয়ে তারা কথা বলে না। জাতির জনকের উপরই তাদের ক্ষোভ। তারা নতুন প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে দিতে চায় না। নতুন প্রজন্ম তাদের অতীত ইতিহাস জানলে তাদের অপপ্রচার ও অপকর্ম চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে, তাই স্বাধীনতার মহানায়কের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ইতিহাসের চাকা উল্টো পথে নিয়ে যেতে চায়।

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, দেশদ্রোহী চক্র জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাংচুর করে বাঙ্গালী জাতির হৃদয়ে আঘাত করেছে। এই বিজয়ের মাসে আমরা এই মৌলবাদী চক্রকে চিরতরে রুখে দিতে চাই। এখন আর পিছনে থাকানোর সময় নেই। তারা সুযোগ পেলেই মুক্তিযোদ্ধের চেতনার উপর আঘাত হানছে। ইতিহাস ভিন্ন পথে চালিত করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই তালেবানীদের রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। অনেক হয়েছে, আর নয়, আমরা দেশদ্রোহী মৌলবাদী চক্রকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে চাই।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এডঃ তাপস রক্ষিত, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউনুচ বাঙ্গালী, ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল উদ্দিন কবির, সদস্য এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনচারী ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান। এছাড়া জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর