স্পোর্টস ডেস্ক •
মারা যাওয়ার ঠিক ১৪ দিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ম্যারাডোনার। সেই সময় তার এজেন্ট জানিয়েছিলেন, নিজের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইচ্ছুক তিনি। কিন্তু হঠাৎ বুধবার রাতে বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই ফুটবল মহানায়ক।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ফুটবলের এই জাদুঘর বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত মাসে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। করা হয় সফল অস্ত্রোপচারও। এরপর সুস্থ হয়ে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাসায়ও ফিরেছিলেন। সম্প্রতি ৬০ বছর পূর্তির জন্মদিনও উদযাপন করেন এই বিশ্ব তারকা।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দিকে দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু অ্যালকোহল আসক্তির কারণে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অনেক বেশি সময় সেখানে থাকতে হয়।
যদিও তার চিকিৎসকদের অভিযোগ ছিল, জীবনের প্রতিটি সময় নিয়মকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়েছেন ম্যারাডোনা। নিজের স্বভাবসূলভ আচরণে মগ্ন থাকা ম্যারাডোনা হাসপাতালে থাকতে চাননি। চিকিৎসকের নিষেধের পরও হাসপাতাল ছাড়তে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। এরমধ্যেই শেষপর্যন্ত গত ১২ নভেম্বর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল ছাড়েন ম্যারাডোনা। কিন্তু বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে থেমে যায় তার জীবনযাত্রা।
খবরে বলা হয়েছে, মাদকাসক্তি নিয়ে ভীষণ সমস্যায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা। তাকে পুনর্বাসনের জন্য নেয়া হয়েছিল তিগ্রে-র একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে।
আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এক টুইট বার্তার খবরটি নিশ্চিত করেছে। বলেছে, আমরা ভীষণ শোকার্ত আমাদের কিংবদন্তির মৃত্যুতে। আপনি সবসময় থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন এ ফুটবল কিংবদন্তি। এ থেকে আর ফিরতে পারেননি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ফুটবলের জাদু দেখিয়েছিলেন এ কিংবদন্তি। সে বছর আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই শিরোপা জিতিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির হয়ে স্মরণীয় মৌসুম উপহার দিয়েছেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকে দুবার সিরি ‘আ’ ও উয়েফা কাপ জিতিয়েছেন এ তারকা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-