ডেস্ক রিপোর্ট •
এখন থেকে নিজেদের মামলা নিজেরাই তদন্ত করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পরে এখন থেকে থানায় মামলা করার পর থেকে নিজেরাই তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে পারায় সন্তুষ্ট ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তরা। ইতিমধ্যে ৩১ জুলাই আনুষ্টানিক ভাবে এক পর্যটক থেকে ছিনতাইয়ের মামলা তদন্তকাজ শুরু করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ মামলার তদন্তাভার পাওয়াসহ সয়ংসম্পূর্ণতার দিকে যাওয়ার সন্তুোষ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহামদ জানান, এখন থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিজেরাই মামলা গ্রহন এবং তদন্ত করতে পারবে। ৩ জুন সরকারি ভাবে সেই প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর একজন পর্যটক থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার সেই ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করার একটি মামলা আমরা তদন্তকাজ শুরু করেছি। এটি প্রথম মামলা কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছে।
তিনি জানান,২০১৫ সালে ৫ আগষ্ট জেলা পুলিশের আওতায় আনুষ্টানিক ভাবে ট্যুরিস্ট পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আমাদের ১৫০ জনের জনবল আছে, বলতে গেলে আমরা এখন সয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তভার গ্রহণের মধ্যদিয়ে আমাদের নিজস্ব সকীয়তায় ফিরে আসলাম। এতে কক্সবাজারের পর্যটকদের দ্রুত আইনী সহায়তা পেতে অনেক সুবিধা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টুয়াক উপদেস্টা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের পরে সৈকতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। রাতের বেলায় পর্যটকরা নিরাপদে হাটাচলা করতে পারছে, অনেকে চেয়ারে বসে রাতের সৈকতের আনন্দ নিতে পারছে। আগে রাতের বেলায় সৈকতে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতো ইদানিং সে সব ঘটনা কমে এসেছে। তবে মামলা করতে পারলেও তদন্তভার না থাকায় আসামীরা সহজে শাস্তির মুখোমুখি হতো না তাই এখন থেকে সহজে মামলার চার্জসিট দিতে পারবে আর বিচার কাজ দ্রুত হবে। এতে পর্যটকদের জন্য অনেক উপকার হবে।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল আলম জানান, আমি ৩ বছর আগে এসেছিলাম। এখন করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে থাকতে থাকতে ছেলেমেয়েরা হাপিয়ে উঠেছে তাই একটু ঘুরতে নিয়ে আসলাম। তবে এখন রাস্তা ঘাটের খুব বাজে অবস্থা দেখছি, সেটা ভাল লাগছেনা। অবশ্য বীচে আসলে মনটা ভাল হয়ে যায়। বিশেষ করে রাতের সৈকত দেখার মজাই আলাদা, এটার কোন তুলনা হয়না। আমি দেখেছি গভীর রাত পর্যন্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে। অনেক সময় তারা নিজেরা এগিয়ে এসে পর্যটকদের খোঁজ খবর নেয় এটা খুবই ভাল দিক। এছাড়া সৈকতে বাতির বা আলোর ব্যবস্থা থাকলে আরেকটু ভাল হতো। তিনি জানান, ঘটনার শুরুতে থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকে তাই তাদের তদন্তভার আগে থেকে দেওয়া উচিত ছিল।
এ ব্যপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর এম এ বারী জানান, দিন যতই যাচ্ছে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি ভাবে অপরাধের ধরণও বাড়ছে। তাই প্রয়োজনের তাগিদে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশকে প্রতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়াতে আমি মনে করি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প আরো এগিয়ে যাবে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভুমিকা রাখবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-