ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে কক্সবাজারে জশনে জুলুশের বিশাল র‍্যালী

এম.এ আজিজ রাসেল •


ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শহরের নুনিয়ারছড়া মোড় রাস্তার মোড় থেকে কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে সভাপতি পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতীর নেতৃত্বে বের করা হয় বিশাল পবিত্র জশনে জুলুশের র‍্যালী। র‍্যালীটি প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে। এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয় প্রায় ৩০ হাজার নবী (স.) প্রেমী। তবে বিশাল র‍্যালীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থায় কোন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। স্বেচ্ছাসেবকরাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গাইছিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ওমর সুলতান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাত হোসেন আল কাদেরী, সিরাজুল হক, আবদুল হক, যুগ্ন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহর শাখার যুগ্ন আহবায়ক এম হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্যতম সমন্বয়ক মঈন উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

শুক্রবার ভোর সকাল থেকে সাদা ও সবুজ পায়জামা-পাঞ্জাবী এবং পাগড়ি পরে জশনে জুলুশে যোগ দিতে ছুটে আসে শিশু থেকে শুরু করে হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সবার হাতে শোভা পায় ধর্মীয় পতাকা, প্লেকার্ড, পেস্টুন ও ব্যানার। বর্ণিলভাবে সাজানো হয় র‍্যালীতে অংশ নেয়া যানবাহন। র‍্যালীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের মুখে মুখে ছিল রাসুল (স.) এর প্রতি দরূদ পাঠ। এসময় ফ্রান্সে বিশ্বনবী (স.) কে ব্যঙ্গ করে কাটুর্ন প্রদর্শন ও প্রেসিডেন্টের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানানো হয়। র‍্যালীতে সবার হাতে হাতে ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শণ করে পোস্টার ও ব্যানার।

প্রিয় নবীর শুভাগমণ উপলক্ষ্যে বর্ণিলভাবে সাজানো হয় পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহর। জশনে জুলুশের র‍্যালী ছাড়াও শুক্রবার কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতির বাড়িতে বাদে ফজর খতমে কুরআন, খতমে খাজেগান ও খতমে গাউছিয়া শরীফ, সকাল ১১টায় আখেরী মোনাজাত ও তবারুক বিতরণ করা হয়।

কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সভাপতি পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতি বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) (৫৭০-৬৩২ খ্রি.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক।

তাই নবী করিম (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ থেকে মানুষের প্রতি সর্বোত্তম ব্যবহার, বিনয়ী চরিত্র, বিনম্র ব্যক্তিত্ব, আনুগত্যতা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসেবা ও মানবকল্যাণ সুনিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়।

আরও খবর