চকরিয়ায় অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান, ২০টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস!

চকরিয়া প্রতিনিধি •


চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে বনভূমি ও ইজারা বিহীন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় ২০ টি ড্রেজার মেশিন ও এক হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসনিক কাজে বাঁধা প্রদানে দুজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এদিনের দৈনিক ইনানী পত্রিকায় খুটাখালীর অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে খুটাখালী ইউনিয়নের মধুশিয়া, ছড়াখাল ও মেধা কচ্ছপিয়া এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যৌথ অভিযান চলে। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানা ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

যৌথ অভিযানে তিন জনকে আটক করা হলেও রাঘব বোয়ালরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। অভিযানকালে ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটুসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও চকরিয়া থানার পুলিশ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। খুটাখালী ও ফুলছড়ীতে সরকারি সম্পদের উপর হস্তক্ষেপ এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে জড়িতদের একটি বিশাল সিন্ডিকেট সনাক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

তাদের দেয়া তত্বমতে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে, মধুশিয়া এলাকায় আনোয়ার হোসেন, নূর মোহাম্মদ পেটান, সাইফুল ইসলাম, মিন্টু, লিটন, ফারুক, বেলাল, রাশেদ, আবদুস শুক্কুর, শাহজালাল, জিল্লু, মন্নান, ওসমান, মোরশেদ, নুরুল আবছার, কালা সোনা, দেলোয়ার হোসেন, লুতু, রমজান আরো ১০-১৫ জনসহ একটি বিশাল সিন্ডিকেট।

এরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। ইতিপূর্বে কয়েকবার অভিযান চালানো হলেও তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালি উত্তোলন ও অবৈধ দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে।

অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানা গেছে।

চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তানভীর হোসেন জানান, চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বনবিভাগ সহ যৌথ এ অভিযানে ড্রেজার মেশিনসহ ও বালু উত্তোলনের সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

এসময় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করায় দুই ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে৷

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

আরও খবর