রোহিঙ্গা শিবিরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ মামলায় গ্রেপ্তার ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গত কয়েকদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে; এতে জড়িত অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১২ জনকে।

তবে ক্যাম্পের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকে দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ৮/১০ টি বসত ঘর পুড়ে গেছে।

উখিয়ার থানার ওসি মো. সঞ্জুর মোরশেদ জানিয়েছেন, গত ১৫ দিন ধরে কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিবাদমান দুইটি বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বুধবার পর্যন্ত ৭ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫ টি মামলা দায়ের করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ৪ অক্টোবর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনী ও আনাস বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত এবং পরদিন আহতদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর জেরে এ দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা গত ৬ আক্টোবর আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৪ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

এদিকে বুধবার রাতে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকে দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ৮/১০ টি বসত ঘর পুড়ে যায় বলে জানিয়েছে অতিরিক্ত ত্রান ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন।

তিনি জানিয়েছেন, রাতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিবাদমান ২ পক্ষের যে কেউ আগুণ লাগাতে পারে।

অন্যদিকে বুধবার বিকালে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। পাশাপাশি পুলিশসহ যৌথ বাহিনী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে টহল জোরদার করেছে। এছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইন-শৃংখলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

আরও খবর