নিজস্ব প্রতিবেদক : চকরিয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। বৈঠকের কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পুলিশ কর্মকর্তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয় নির্ধারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চকরিয়া থানার হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় চকরিয়া উপজেলার আঠারোটি ইউনিয়নের মধ্যে এগারোটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এন.আই এ্যাক্টের সি.আর- ৮৪৯/১৮ মামলার পলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি ৮৭ ও ৮৮ ধারা মােতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, এ আসামী আদালতে আত্মসমর্পন না করে গ্রেফতার এড়ানাের জন্য পলাতক রয়েছে অথবা আত্মগােপন করেছেন। উক্ত আসামীগণের শীঘ্রই গ্রেফতার করার সম্ভাবনা নেই। এমতাবস্থায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৩৯ (বি) ১ ধারার ক্ষমতাবলে উক্ত আসামীকে আদেশ জারীর ১০ (দশ) দিনের মধ্যে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রাজীব কুমার দেব। অন্যথায় ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৩৯ (বি) ১ ধারার ক্ষমতাবলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য সমাধা করা হবে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, মামলার পরোয়ানা নিয়ে পুলিশের সাথে বৈঠক করা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা বলে দিদার চেয়ারম্যানের পক্ষে এটি সম্ভব হয়েছে। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে তাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন তারা।
ফেরারি আসামীর সাথে মতবিনিময় সভার বিষয়টি স্বীকার করে চকরিয়া থানার শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি তালিমের ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-