ক্যাম্পে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ঘর ছাড়লেন ৫শ’ রোহিঙ্গা পরিবার

সুজাউদ্দিন রুবেল •

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কুতুংপালং ক্যাম্প-১ এ উত্তেজনা বিরাজ করছে।

তবে সংঘর্ষের কারণে মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) রাত ১০টা পর্যন্ত ক্যাম্প-১ থেকে আনুমানিক ৫শ’ রোহিঙ্গা পরিবার ঘর ছেড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্প ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, কুতুপালংস্থ ক্যাম্প-১ এ সন্ধ্যার পর থেকে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। এখনো ক্যাম্পে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের কারণে আতংকে ইতিমধ্যে সাধারণ ৫শ’ রোহিঙ্গা পরিবার ক্যাম্প-১ থেকে সরে গিয়ে অন্যান্য ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ঘর ছাড়া রোহিঙ্গারা স্ব-স্ব ঘরে ফিরে আসবে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু দ্দৌজা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা চলছে। তারই ধারাবাহিকতা গত ৪ ও ৫ অক্টোবর ৩ জন রোহিঙ্গা হত্যা করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুতুপালং ক্যাম্প-১ এ রোহিঙ্গাদের দুইগ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কতজন হতাহত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের গলাকাটা ও অপর ৩ জন গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় একজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।

আরও খবর