কক্সবাজারে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সেবার মান তলানিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক •

দেশের অন্যতম বেসরকারী ব্যাংক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার সেবার মান দিনদিন তলানির দিকে যাচ্ছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ এই শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বশিরুস সামাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ব্যাংকটির সেবা মান নিয়ে চরম আশাহত হচ্ছেন তারা।

ব্যাংক সূত্র জানায়, শহরে ব্যাংকটির দুটি এটিএম বুথ রয়েছে। একটি শহরের ঝাউতলার গ্রীণ ভেলী বিজনেস সেন্টার অন্যটি কলাতলী রোডের নিটল রিসোর্টের সামনে।

অধিকাংশ গ্রাহকদের অভিযোগ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এ দুটি এটিএম বুথে প্রায় সময় টাকা লোড করা থাকেনা। ফলে গ্রাহকদের বুথে টাকা না পেয়ে ফেরত আসতে হয়।

এতে করে প্রয়োজনের সময় টাকা না পেয়ে নানা বিপদের মুখোমুখি হন ব্যাংকটির শত শত গ্রাহক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার শহরের ব্যাংকটির গ্রাহক চাকরিজীবী অভিযোগ করে বলেন, তিনি প্রথমে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার নিচে বুথ থেকে টাকা তুলতে যান।

অনেক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে ওই গ্রাহক বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি। পরে সিকিউরিটি গার্ড তাকে জানায়, সকাল থেকে কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারেননি।

একইদিন ওই গ্রাহক সন্ধ্যা সাতটায় বুথে গিয়েও টাকা আর তুলতে পারেননি।

৩০ সেপ্টেম্বর সকালে মিউচুয়ালের অন্য এক গ্রাহক টাকা তুলতে যান গ্রীণ ভেলি বিজনেস সেন্টার শাখার এটিএম বুথে। একদিন আগের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি তখনও।

ওই গ্রাহকও টাকা তুলতে পারেননি সেদিন। দায়িত্বরত সিকিউরিটি গ্রাহককে জানান, তিনি বহুবার ব্যাংকের ম্যানেজার বশিরুস সামাদসহ একাধিক অফিসারকে জানিয়েছেন, কিন্তু তারা সমস্যা সমাধানে সাড়া দেননি। বুথে টাকা লোড করেননি।

এ রকম গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকটির ব্যাপারে হরহামেশাই রয়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সূত্র জানায়, একটি বুথে ৬০ লাখের মতো টাকা লোড করার সক্ষমতা থাকে। যদিও কোন কোন ব্যাংক ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা লোড করে থাকে। আর যদি বুথে অন্তত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রিজার্ভ থাকে সে ক্ষেত্রে আবারো বুথে টাকা লোড করার নিয়ম রয়েছে।

আর বুথে কতো পরিমাণ টাকা আছে তা ব্যাংকের হোম পেইজে দেখার দায়িত্ব অপারেশন ম্যানেজার কিংবা ম্যানেজারের।

সূত্র আরো জানায়, বুথে টাকার পরিমাণ কমে আসার সাথে সাথে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অল্টারনেট ডেলিভারী চ্যানেল (এডিসি) দেখা শোনা করে। বুথে টাকার পরিমাণ কমে আসলে টাকা লোড করতে নির্দেশ দেয় শাখা ব্যাংকের ম্যানেজারকে।

অথচ প্রতিনিয়ত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শহরের দুটি বুথে টাকা লোড না থাকলেও প্রধান শাখার নির্দেশনা মানেন না ব্যাংক ম্যানেজার। আবার হুম পেইজ দেখে ব্যবস্থাও গ্রহন করেন না তিনি।

শুধু বুথে টাকা লোড না করাটাই শুধু নয়, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূতের ব্যবস্থাও নাই বুথে ।

লোডশেডিং এর কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রাহকদের অপেক্ষায় থাকতে হয় এখানে। রাখা হয়নি জেনারেটর কিংবা আইপিএস এর বিকল্প কোন ব্যবস্থা।

যার ফলে কখনো বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে কার্ড পাঞ্চ করার সাথে সাথে বিদ্যূৎ চলে গিয়ে আটকে যায় এটিএম কার্ড। আর গ্রাহকদের জন্য এটি হয়ে যায় ‘মরার উপর খরার ঘাঁ। ফলে একমাস নতুবা দেড় মাস পর কার্ড ফেরত পেতে পেতে দম বন্ধ হয়ে যায় ভুক্তভোগিদের।

অভিযোগ আছে, মিউচুয়ালের কক্সবাজার শাখার নিচের বুথটির দরজাটি দীর্ঘদিন অকেজো। বল প্রয়োগ করে খুলতে হয় বন্ধ করতে হয়। সামান্য এ বিষয়টিও সমাধানে কোন ব্যবস্থা নেন না ব্যবস্থাপক।

ব্যাংকটির গ্রাহকদের দাবী, কক্সবাজার একটি পর্যটন এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে যেমন পর্যটক আসেন একইভাবে এনজিও সংস্থায় অনেক দেশি বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহক। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ি, সরকারী বেসরকারী চাকরীজীবী।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলেননা। এটিএম ব্যবহার করতেই তারা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।

শুধু দুটি বূথ দিয়ে এসব গ্রাহকদের যেমন সেবা দেয়া দুরূহ ব্যাপার তারোপর মিউচুয়ালের বূথ দুটির সেবার মানও আহত করছে গ্রাহকদের।

এসব অভিযোগ নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক বশিরুস সামাদকে ফোন করলে তিনি বুথে সব সময় টাকা রাখা হয় বলেই ফোন কেটে দেন। বার বার ফোন করার পরও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

একাধিক সূত্র জানায়, এক সময় মিউচুয়াল ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার সাউথ ইষ্ট ব্যাংক চকরিয়া শাখায় ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যদিও পরবর্তীতে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি নেন।

দেশের অন্যতম বেসরকারী ব্যাংক মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার সেবার মান দিনদিন তলানির দিকে যাচ্ছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ এই শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বশিরুস সামাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ব্যাংকটির সেবা মান নিয়ে চরম আশাহত হচ্ছেন তারা।

ব্যাংক সূত্র জানায়, শহরে ব্যাংকটির দুটি এটিএম বুথ রয়েছে। একটি শহরের ঝাউতলার গ্রীণ ভেলী বিজনেস সেন্টার অন্যটি কলাতলী রোডের নিটল রিসোর্টের সামনে।

অধিকাংশ গ্রাহকদের অভিযোগ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এ দুটি এটিএম বুথে প্রায় সময় টাকা লোড করা থাকেনা। ফলে গ্রাহকদের বুথে টাকা না পেয়ে ফেরত আসতে হয়।

এতে করে প্রয়োজনের সময় টাকা না পেয়ে নানা বিপদের মুখোমুখি হন ব্যাংকটির শত শত গ্রাহক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার শহরের ব্যাংকটির গ্রাহক চাকরিজীবী অভিযোগ করে বলেন, তিনি প্রথমে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার নিচে বুথ থেকে টাকা তুলতে যান।

অনেক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে ওই গ্রাহক বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেননি। পরে সিকিউরিটি গার্ড তাকে জানায়, সকাল থেকে কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারেননি।

একইদিন ওই গ্রাহক সন্ধ্যা সাতটায় বুথে গিয়েও টাকা আর তুলতে পারেননি।

৩০ সেপ্টেম্বর সকালে মিউচুয়ালের অন্য এক গ্রাহক টাকা তুলতে যান গ্রীণ ভেলি বিজনেস সেন্টার শাখার এটিএম বুথে। একদিন আগের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি তখনও।

ওই গ্রাহকও টাকা তুলতে পারেননি সেদিন। দায়িত্বরত সিকিউরিটি গ্রাহককে জানান, তিনি বহুবার ব্যাংকের ম্যানেজার বশিরুস সামাদসহ একাধিক অফিসারকে জানিয়েছেন, কিন্তু তারা সমস্যা সমাধানে সাড়া দেননি। বুথে টাকা লোড করেননি।

এ রকম গ্রাহকদের অভিযোগ ব্যাংকটির ব্যাপারে হরহামেশাই রয়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সূত্র জানায়, একটি বুথে ৬০ লাখের মতো টাকা লোড করার সক্ষমতা থাকে। যদিও কোন কোন ব্যাংক ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা লোড করে থাকে। আর যদি বুথে অন্তত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রিজার্ভ থাকে সে ক্ষেত্রে আবারো বুথে টাকা লোড করার নিয়ম রয়েছে।

আর বুথে কতো পরিমাণ টাকা আছে তা ব্যাংকের হোম পেইজে দেখার দায়িত্ব অপারেশন ম্যানেজার কিংবা ম্যানেজারের।

সূত্র আরো জানায়, বুথে টাকার পরিমাণ কমে আসার সাথে সাথে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অল্টারনেট ডেলিভারী চ্যানেল (এডিসি) দেখা শোনা করে। বুথে টাকার পরিমাণ কমে আসলে টাকা লোড করতে নির্দেশ দেয় শাখা ব্যাংকের ম্যানেজারকে।

অথচ প্রতিনিয়ত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শহরের দুটি বুথে টাকা লোড না থাকলেও প্রধান শাখার নির্দেশনা মানেন না ব্যাংক ম্যানেজার। আবার হুম পেইজ দেখে ব্যবস্থাও গ্রহন করেন না তিনি।

শুধু বুথে টাকা লোড না করাটাই শুধু নয়, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যূতের ব্যবস্থাও নাই বুথে ।

লোডশেডিং এর কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রাহকদের অপেক্ষায় থাকতে হয় এখানে। রাখা হয়নি জেনারেটর কিংবা আইপিএস এর বিকল্প কোন ব্যবস্থা।

যার ফলে কখনো বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে কার্ড পাঞ্চ করার সাথে সাথে বিদ্যূৎ চলে গিয়ে আটকে যায় এটিএম কার্ড। আর গ্রাহকদের জন্য এটি হয়ে যায় ‘মরার উপর খরার ঘাঁ। ফলে একমাস নতুবা দেড় মাস পর কার্ড ফেরত পেতে পেতে দম বন্ধ হয়ে যায় ভুক্তভোগিদের।

অভিযোগ আছে, মিউচুয়ালের কক্সবাজার শাখার নিচের বুথটির দরজাটি দীর্ঘদিন অকেজো। বল প্রয়োগ করে খুলতে হয় বন্ধ করতে হয়। সামান্য এ বিষয়টিও সমাধানে কোন ব্যবস্থা নেন না ব্যবস্থাপক।

ব্যাংকটির গ্রাহকদের দাবী, কক্সবাজার একটি পর্যটন এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে যেমন পর্যটক আসেন একইভাবে এনজিও সংস্থায় অনেক দেশি বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহক। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ি, সরকারী বেসরকারী চাকরীজীবী।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলেননা। এটিএম ব্যবহার করতেই তারা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।

শুধু দুটি বূথ দিয়ে এসব গ্রাহকদের যেমন সেবা দেয়া দুরূহ ব্যাপার তারোপর মিউচুয়ালের বূথ দুটির সেবার মানও আহত করছে গ্রাহকদের।

এসব অভিযোগ নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপক বশিরুস সামাদকে ফোন করলে তিনি বুথে সব সময় টাকা রাখা হয় বলেই ফোন কেটে দেন। বার বার ফোন করার পরও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

একাধিক সূত্র জানায়, এক সময় মিউচুয়াল ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার সাউথ ইষ্ট ব্যাংক চকরিয়া শাখায় ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যদিও পরবর্তীতে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি নেন।

আরও খবর