ভারুয়াখালীতে শ্বশুর-শাশুড়ী হত্যাকারী মিজানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে খুনি জামাতা মিজানের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া শ্বশুর নুরুল কবির ও শাশুড়ী নুর জাহান হত্যার প্রতিবাদে খুনি মিজানসহ তার সহযোগীদের ফাঁসি চেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জনতা।
২৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৪টার দিকে ভারুয়াখালী বাজারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরি,ভারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীন,এম এ কাশেম (এমইউপি), নুরুল আজিম,শেখ কামাল,ছাত্র নেতা ইয়াছির আরাফাত, মিজান উদ্দিন,আবুল কাশেম জয়,জিয়াউল হক জিমন ও স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে খুনিদের ফাঁসি চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহত নুরুল কবির মিস্ত্রি ও নুরজাহান বেগমের একমাত্র কন্যা নুসরাত জাহান জেরিন ও নুরুল কবিরের মা।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা সঞ্চালনা করেন কক্সবাজার আইন কলেজের সাবেক সভাপতি আমানুল ইসলাম আমান।

উল্লখ্য, কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে মেয়েকে মারধরে বাধা দেওয়ায় জামাতার হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন শ্বশুড় নুরুল কবির। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নুুরুল কবিরের স্ত্রী নুর জাহানকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ভারুয়াখালী ৪ নং ওয়ার্ডের মোশাররফ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল কবির ভারুয়াখালী এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

ঘটনার পর ঘাতক জামাতা মিজানুর রহমান (২৮) পলাতক রয়েছে। সে একই ইউনিয়নের বানিয়া পাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ২ বছর আগে ৪ নং ওয়ার্ডের বানিয়া পাড়ার মোঃ মিজানের সাথে একই ওয়ার্ডের মোশাররফ পাড়ার নুরুল কবিরের মেয়ে নুসরাত জাহান জেনির বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকে স্বামী। নির্যাতনের জের ধরে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন জেনি। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিশ হয়েছে।

সর্বশেষ সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে মিজান দরজা ভেঙ্গে শ্বাশুড় বাড়িতে প্রবেশ করে স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে। এ সময় স্বামীর প্রহার থেকে মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে যায় শ্বশুড় নুরুল কবির ও শাশুড়ি নুরজাহান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাশুড় এবং শ্বাশুড়িকে কুপিয়ে আহত করে। মধ্যরাতে চিৎকার চেচামেচি শোনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে গেলে মিজান পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল কবিরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে মুমূর্ষ নুরজাহানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। নেওয়ার পথে শ্বাশুড়ী নুর জাহান মারা যান।

আরও খবর