জাহেদ হাসান •
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের কাঠমিস্ত্রী সহ দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে এবং একজন মাদক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার( ২৬ সেপ্টেম্বর)রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার এর তত্ত্বাবধানে ও পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্রগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের চট্টগ্রাম একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাকলীয়া থানাধীন শাহ আমানত সংযোগ সড়কের পশ্চিম পাশে তল্লাশী চালিয়ে একটি কাঠের বাক্সের ভেতর কাঠ মিস্ত্রির কাজে ব্যবহৃত সরন্জামসহ বাক্সের নিচে বিশেষ কায়দায় তৈরিকৃত চেম্বার থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার সহ দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় এবং তল্লাশী চলাকালে কৌশলে একজন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত আসামীর হলেন,(১) আবুল বশর (৫০), পিতা- মৃত লোকমান হাকিম, মাতা- মৃত রকুন জান, সাং- উলু ছামরী(মোঃ হোসেন ওরফে মাছন মিস্ত্রী বাড়ী)৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হ্নীলা, টেকনাফ, কক্সবাজার,(২) রহিম উল্লাহ, পিতা- আঃ রাজ্জাক, মাতা- মৃত বানু বিবি, সাং- দক্ষিণ লেঙ্গুর বিল(শাহ আলম এর দোকানের পিছনের বাড়ী)৩ নং ওয়ার্ড টেকনাফ- কক্সবাজার।
পলাতক আসামী হলেন (৩) মোঃ জাফর(৪৮) পিতা- মোঃ হোসেন প্রকাশ মাহাতুর (বড় ভাই এর নাম মোঃ ফরিদ), সাং- উলু ছামরী( প্রাইমারী স্কুলের উত্তর পার্শ্বে মাহাতুরের ছেলের বাড়ী) ৬ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হ্নীলা টেকনাফ- কক্সবাজার।
এবিষয়ে উপপরিদর্শক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির খন্দকার বলেন,আটককৃত দু’জন সহ একজনকে পলাতক আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে বাকলীয়া থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা হবে বলে জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-