হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ◑
উখিয়ায় বিনা বাধায় দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহন। সর্বত্র অবাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে পিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাস, টমটম, লেগুনা, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা।
এসব যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড।চলছে চাঁদাবাজির উৎসব। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব অবৈধ পরিবহন চলাচল রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই।
উখিয়া সদর ও বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী সাধারণ যানজটে ভোগলেও করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। বর্তমানে আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক প্রসস্থতায় মানুষ যানজট নিরসনে কিছুটা আশান্বিত হয়েছিল।
কিন্তু রাস্তার দুপাশে যেখানে সেখানে অবৈধ পার্কিং, সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড, গাড়ি মেরামত এবং পণ্যবাহী ট্রাক, বাস ও শত শত এনজিওর গাড়ি চলাচলসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সড়কের এই নৈরাজ্য দমনে ট্রাফিক বিভাগ বা পুলিশের উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই। এতে নিত্যদিন চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে উখিয়াবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারিভাবে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাঞ্জা থাকায় গত কয়েকমাস সড়কে নৈরাজ্য ছিল না। গত ঈদ উপলক্ষে মার্কেট খুলে দেওয়া ও এখন সব কিছু চালু হওয়ার পর থেকে সড়কগুলোতে বিনা বাধায় নির্বিগ্নে চলাচল করছে অবৈধ যানবাহন।
যানবাহন চলাচলে সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিধি থাকলেও এসব পরিবহন কর্তৃপক্ষ তা মানছে না। কোন নজরদারী না থাকায় যাত্রীদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্য বিধি মানার মন মানসিকতা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্বেও যাত্রীরা গাদাগাদি করেই চলাচল করছে। ফলে দেখা দিয়েছে সেই আগের চিত্র।
অভিযোগ উঠেছে, পরিস্থিতি বদলে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা বদলায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, উখিয়া সদর ষ্টেশন, কোটবাজার ষ্টেশন, মরিচ্যা বাজার, সোনারপাড়া বাজার, পর্যটন এলাকা ইনানী, কুতুপালং বাজার, বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী ষ্টেশন ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবৈধ টমটম, ইজিবাইক, লেগুনা, সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে তুলা হয়েছে। এসব অবৈধ পরিবহন থেকে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা। খুরশেদ আলম অনেক দিন পর পরিবার পরিজন নিয়ে পাথুরে গাথা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেছেন।
তিনি জানান, সিএনজি গাড়ি থেকে নামতেই দিচ্ছেনা আমাদের। বিষয় কি জানতে চাইলে রশিদ দেখিয়ে চাঁদা দাবি। অবশেষে চাঁদা দিয়েই আমাদের যেতে হলো। তাদের সাথে কথায় পারা যায়না। খুব খারাপ আচরণ করে তারা। এতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আমাদের উখিয়ার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে আমি মনে করি। উখিয়ার ছৈয়দ আহমদ তার ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছেন পালংখালীতে।
তিনি বলেন, উখিয়ার টেকনিক্যাল কলেজ গেইটে পুলিশ চেক পোস্ট পেরিয়ে একটু যেতেই ডিগ্রী কলেজ গেইটের সামনে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট পার হয়ে কুতুপালং বাজার এলাকায় দীর্ঘ যানজট। কুতুপালং থেকে পালংখালী পর্যন্ত যেতে যতগুলো টমটম চালক দেখলাম শতকরা আশিজন টমটম চালক হলো রোহিঙ্গা। এরা আইন-কানুন কিছুই জানে না। যার যার ইচ্ছেমতো টমটম চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের জনবল বাড়াতে হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-