রামু প্রতিনিধি ◑
রামুতে শাশুড় বাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত দিদারুল আলম (৩২) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শহর আলীর ছেলে। রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা ঘোনারপাড়া (প্রকাশ লার পাড়া) নামক এলাকায় শাশুড় বাড়িতে মারধরের শিকার হন দিদারুল আলম।
গুরতর আহত দিদারুল আলম শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান।
নিহতের ভাই মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, ২টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (মুদির দোকান) আত্মসাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দিদারকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত দিদারুল আলমের পিঠ, হাত, কোমর সহ বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরো জানান, দিদারুল আলম রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা ঘোনারপাড়া লারপাড়া নামক এলাকার কহাবিব উল্লাহর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দিদারুল আলম শ^শুড় বাড়িতে বসবাস করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। বর্তমানে তাদের সংসারে এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে। ব্যবসায়িক সফলতার কারনে দিদারুল আলমের বর্তমানে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা এবং একটি মুদির দোকান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দিদারুল আলমের স্ত্রী, শ্যালক ও চাচা শাশুড়সহ একটি চক্র তার সিএনজি গাড়ি দুটি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে দিদারুল আলমকে বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করতে থাকে।
এরই জের ধরে হাবিব উল্লাহর ছেলে মো. রায়হান, আবুল কাসেমের ছেলে আবদুল গফুর, মৃত কাছিম আলীর ছেলে হাবিব উল্লাহ, দিদারুল আলমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং স্থানীয় নজির আহমদ নামের এক ব্যক্তিসহ আরো একাধিক ব্যক্তি মিলে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে এবং গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিদারুল আলমকে দুদফা পিটিয়ে গুরতর আহত করে। মারধরের পর উল্টো দিদারুল আলমের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা চালায় হামলাকারিরা। মূমূর্ষু অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার রাত ১২টায় তিনি মারা যান।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নামাজে জানাযা শেষে কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নের লারপাড়া এলাকায় দিদারুল আলমের দাফন সম্পন্ন হয়। পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে দিদারুল আলমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা দিদারুল আলমকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, দিদারুল আলম বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের জানিয়েছেন, মারধরে কারণে নাকি বিষপানে মৃত্যু তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। পেলে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-